বসুরহাটে থমথমে পরিস্থিতি, আটক ২৭

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২১, ১৩:৫১

সাহস ডেস্ক

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ঘটনায় ২৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু ককটেল, মারামারির কাজে ব্যবহৃত লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় আজ বুধবার (১০ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি।

সংঘর্ষের কারণে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বসুরহাটে। পৌরসভা এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারার কারণে বাজারে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি একেবারেই কম। বসুরহাট বাজারের বেশির ভাগ দোকানপাটই বন্ধ। সাধারণ মানুষ ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

জানা গেছে, পৌরসভা এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা জারির পর বসুরহাট-দাগনভূঞা সড়কের মহাজনদিঘি, বসুরহাট-কবিরহাট সড়কের লোহার পোল এলাকাসহ বিভিন্ন সড়কে কাদের মির্জার অনুসারীরা ব্যারিকেড দিয়েছেন। ফেনী ও কবিরহাট থেকে কেউ যাতে বসুরহাটে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং যাত্রীবাহী বাস আড়াআড়ি করে রেখে রাস্তা বন্ধ করে দেয়।

এদিকে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা আজ ২৭ জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত তিনি বলেন, বসুরহাট-চাপরাশিরহাট সড়ক থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বহনকারী পিকআপ ভ্যান থেকে বেশ কিছু ককটেল, ইটপাটকেল ও লোহার রড উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সোমবার বিকালে বসুরহাট রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের একাংশ (মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপ)। সন্ধ্যা ৬টার দিকে থানার পশ্চিম পাশের সড়ক (মাকসুদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) দিয়ে সভায় হামলার চেষ্টা চালায় মির্জার সমর্থকরা। এসময় উভয় পক্ষের সমর্থকরা মুখোমুখি হলে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে এ সংঘর্ষ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। রাত ৮টার দিকে মেয়র কাদের মির্জার সমর্থকরা বসুরহাট বাজারে একটি মিছিল বের করলে বাদলের সমর্থকদের সঙ্গে পুনরায় সংঘর্ষ হয়। পরে কাদের মির্জার অনুসারীরা বসুরহাট পৌরসভা ভবন ও প্রাঙ্গণে অবস্থান নিলে বাদল গ্রুপের লোকজন ফের হামলা চালায়। এসময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময় শুরু হয়। উভয় পক্ষের গুলিতে ২০ জন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে রাত পৌনে ১১টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে উপজেলার চরকালী গ্রামের মোমিনুল হকের ছেলে আলাউদ্দিনকে (৩০) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত