করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড

বেড়েই চলছে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা। প্রতিদিন শতাধিক মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজও দেড় শতাধিক মৃত্যুর খবর দিয়েছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় একদিনে দেশে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৫ জন।

এ নিয়ে মোট ৯ দিন এবং টানা ৮ম দিনের মতো করোনায় শতাধিক মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়ালো। গত ২৫ জুন থেকে আজ পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুধু মাত্র ২৬ জুন শতকের নিচে ছিল মৃত্যুর সংখ্যা। পহেলা জুলাই সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ২ জুলাই ১৩২ জন এবং ৩ জুলাই ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ৮ হাজার ৬৬১ জন। সংক্রমণ শনাক্তের ক্ষেত্রে একদিনে এটিও সর্বোচ্চ রেকর্ড। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯১৭ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২৯ হাজার ৮৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্ত দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

রবিবার (৪ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৪ হাজার ৬৯৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়েছে ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮৯৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৮৮ দশমিক ২৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৬০৩টি ল্যাবরেটরিতে ২৯ হাজার ৩১৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৯ হাজার ৮৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৫৬০টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৫৩ জনের মধ্যে পুরুষ ৯৬ জন এবং ৫৭ জন নারী। এদের মধ্যে ৯ জন বাসায় মারা গেছেন। ৩ জনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় বিশোর্ধ্ব ৩ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৭০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৫৩ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা খুলনায়, ৫১ জন। এরপর ঢাকায় ৪৬ জন, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ১৫ জন করে, রাজশাহীতে ১২ জন, ময়মনসিংহে ৯ জন, বরিশালে ৩ জন এবং সিলেটে ২ জন।