ঈদের আগে ঈশ্বরদী-ঢাকা রেল সেতুর মেরামত ক্ষোভ-দুর্ভোগ বাড়িফেরা যাত্রীদের

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ক্ষতিগ্রস্ত থাকার পর ঈদের আগে ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথে ২৬ নম্বর রেল সেতু মেরামত কাজ শুরু করেছে রেল বিভাগ। গতকাল রোববার সকালে পাকশী রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা মেরামত কাজ শুরু করেন। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারও ট্রেনযাত্রী। 
এদিন রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনগুলো তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে। দেখা দিয়েছে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়। আর ঈদের আগে এমন পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যাত্রীরা।
তবে রেলওয়ে বিভাগ বলছে, যাত্রীদের ট্রেনযাত্রা নির্বিঘ্ন করতেই তাড়াহুড়ো করে সেতু মেরামত করা হচ্ছে।  
লাহিড়ী মোহনপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা আন্তঃনগর ট্রেন ধুমকেতুর যাত্রী আসমা খাতুন বলেন, ছেলে মেয়ে নিয়ে ঢাকা থেকে রাজশাহী যাচ্ছি। এখানে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। রোজার দিনে বাচ্চারা অস্থির হয়ে উঠেছে। 
রাজশাহীগামী উল্লাপাড়ার বাসিন্দা ধুমকেতু ট্রেন যাত্রী শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি ডাক্তার দেখানোর জন্য রাজশাহী একটি ক্লিনিকে বিকেল ৩টায় সিরিয়াল দিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রেনের এ অবস্থায় তার পক্ষে আর ডাক্তার দেখানো সম্ভব হবে না।
ট্রেন সিডিউল বিপর্যয়ের কথা জানিয়ে উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুল বাতেন বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা থেকে কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করার কথা থাকলেও বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ওই ট্রেনটি উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনেই দাঁড়িয়ে থাকে। অন্যদিকে জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে নীলসাগর এক্সপ্রেস। লাহিড়ী মোহনপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে ধুমকেতু আন্তঃনগর এক্সপ্রেস। টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে রংপুর এক্সপ্রেস। এছাড়া দিলপাশ স্টেশনের পশ্চিমে শরৎনগর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে চিলাহাটি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস। প্রায় সবগুলো আন্তঃনগর ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে। 
পাকশী রেলওয়ে বিভাগের বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা (ডিআরএম) নুর মোহাম্মাদ বলেন, ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথে দিলপাশা স্টেশন সংলগ্ন ২৬ নম্বর রেল সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। এর আগেও কয়েক দফায় সেতুটি মেরামত করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হচ্ছিল। কিন্তু আসন্ন ঈদের আগে এই সেতুর উপর অতিরিক্ত চাপ নেয়ার সক্ষমতা তৈরি করার জন্য এটি গতকাল রোববার বড় আকারের মেরামত কাজ শুরু হয়। এতে এই পথের ট্রেন যাত্রীরা কয়েক ঘণ্টা দুর্ভোগে পড়েন। তবে ঈদে এই পথে ট্রেন চলাচল নির্বিঘ্ন করতেই মূলত সেতু মেরামতের কাজ করা হয়।