দেশে করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু

দেশে টানা ছয় দিন ধরে করোনাভাইরাসে শতাধিক মৃত্যু হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু সংখ্যা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসময় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩২ জনের মৃত্যুও হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৭৭৮ জনে।

গত ২৭ জুন থেকে আজ পর্যন্ত টানা শতাধিক মৃত্যু হয়েছে। তার আগে ২৫ জুন শতাধিক মৃত্যু হয়েছিল। বাদ গেছে শুধু ২৬ জুন। গতকাল ১ জুলাই সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু খবর দেয়া হয়। এর আগে ২৭ জুন ১১৯ জন, ২৮ জুন ১০৪ জন, ২৯ জুন ১১২ জন, ৩০ জুন ১১৫ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল অধিদপ্তর।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ৮ হাজার ৪৮৩ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৩০ হাজার ৪২ জন।

শুক্রবার (২ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৪ হাজার ৫০৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ৮ লাখ ২৫ হাজার ৪২২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৩২ জনের মধ্যে ৮১ জন পুরুষ, এবং নারী ৫১ জন। এদের মধ্যে ১১৯ জন হাসপাতালে মারা গেছেন এবং বাড়িতে ১৩ জন। এদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৬৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৪ জন ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগেই মারা গেছে সব চেয়ে বেশি ৩৫ জন, এরপর ঢাকায় ৩০ জন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে ২৪ জন করে, রংপুর বিভাগে ৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন এবং বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ২ জন করে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৫৬৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৮টি, জিন এক্সপার্ট ৪৭টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৯১টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩০ হাজার ৩৮৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজার ১২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৬ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন তিন হাজার ১৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ১১৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৮৭ হাজার ১৭৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪৯ হাজার ৮৮ জন।