জনপ্রতিনিধি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের টিকাদান কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আহ্বান

প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২১:৪১

সাহস ডেস্ক

আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। এই কর্মসূচিতে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের করোনার টিকা নেওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরও টিকা নেওয়ায় উৎসাহিত করতে আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সাংসদ, মন্ত্রী, সরকারের সচিবদের আহ্বান জানাব, তারা এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।

মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান স্বাস্থমন্ত্রী।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের নিচে নামলে ভাইরাস আপনা-আপনি চলে যায়। তাই সংক্রমণের বর্তমান হার বজায় রাখতে সবাইকে মাস্ক পরা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশে সংক্রমণের হার ৩-৪ শতাংশে ওঠানামা করছে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত টিকার মধ্যে অক্সফোর্ডের টিকা সবচেয়ে নিরাপদ।

জাহিদ মালেক বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান করব আপনারা আপনাদের এলাকার মানুষকে টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। তাদের টিকাদানে উদ্বুদ্ধ করবেন।

টিকা নিতে নিবন্ধন করার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যাপে নিবন্ধন করতে না পারলে, অন্যের সাহায্য নিন। প্রয়োজনে ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রেও সাহায্য নিতে পারেন। এ ছাড়া টিকাদান কেন্দ্রে এলেও ফরম পূরণ করে নিবন্ধন করা যাবে।

তিনি বলেন, টিকা ছাড়া করোনাভাইরাস নির্মূল করা দুরূহ। দেশে এ পর্যন্ত যারা করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিয়েছেন, তারা সবাই সুস্থ আছেন।

সবশেষে সবাইকে টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সব ব্যবস্থা আছে। আপনি টিকা নেন, সুস্থ থাকেন, দেশকে সুস্থ রাখেন।

করোনার টিকা এখন স্বাস্থ্য খাতের ‘হট টপিক’ বলে মন্তব্য করে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিকা নেবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি দায়িত্বশীল রাজনীতিক, মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্য, রাজনৈতিক সংগঠন ও প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিরা প্রকাশ্যের টিকা নিলে এবং সেটি গণমাধ্যম প্রচার করলে টিকা নিয়ে মানুষের বিরূপ ধারণা কেটে যাবে।

৩০ জানুয়ারি বিশ্ব এনটিডি (ক্রান্তীয় অবহেলিত রোগ) দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। আয়োজক হিসেবে ছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অ্যাসেন্ড।

এই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডাইরেক্টর) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি বারদান জং রানা, অ্যাসেন্ড বাংলাদেশের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক শারদ বারকাতাকি বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত