ভ্যাকসিন নিলে ভয় নেই, না নিলেই ভয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:০৮

সাহস ডেস্ক

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যে কোনও কাজ করতে গেলে কিছু সমালোচক থাকে। ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে তা নিয়ে বিরূপ প্রচার-প্রচারণা আছে। প্রতিটি ভ্যাকসিনেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। একটু জ্বর হতে পারে, শরীর গরম বা মাথা ব্যথা হতে পারে। টিকা নেওয়ার যায়গাটা একটু ফুলে যেতে পারে। প্রতিটি ওষুধেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। তাই বলে কি ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি?

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সম্মেলন কক্ষে করোনার ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে বিশেষ অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়ার একটি পদ্ধতি অনসুরণ করা হবে। করোনায় ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের আগে এ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন নিলে কোনও ভয় নেই। বরং ভ্যাকসিন না নিলেই ভয়। ভ্যাকসিন এখন একটি বড় অস্ত্র এই করোনার জন্য।

মন্ত্রী বলেন, সরকারের যে গাইডলাইন (নীতিমালা) সে অনুযায়ী সারাদেশে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কনোনাভাইরাস যেভাবে সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করা হয়েছে, ভ্যাকসিনও সফলতার সঙ্গে দিতে পারবো।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন এখন একটি বড় অস্ত্র এই করোনার জন্য। বাংলাদেশ এ বিষয়ে প্রশংসা পাবে এবং পাচ্ছেও অলরেডি। অনেক রাষ্ট্র এখনো ভ্যাকসিন পায়নি। আগামী দুই-তিন মাসেও পাবে কি-না সন্দেহ। তার উদাহরণ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, শ্রীলংকাসহ বড় বড় রাষ্ট্র এখনো ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে পারেনি। কিন্তু বিশ্বের ২৩ নম্বর দেশ হিসাবে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন এমনি এমনি আসে নাই। গত ছয় মাস যাবত এই ভ্যাকসিন আনার জন্য এর পেছনে লেগে থাকতে হয়েছে। যারা যারা ভ্যাকসিন তৈরি করছে সবাইকে আমরা পত্র পাঠিয়েছি। সবার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছি। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অন্যতম সেরা ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক। পৃথিবীর ৬০ ভাগ ভ্যাকসিন এ ইনস্টিটিউটে তৈরি হয়। সেখান থেকে আমরা এ ভ্যাকসিনটি আনার ব্যবস্থা করেছি। অনেক দেনদরবার হয়েছে এ নিয়ে। ভ্যাকসিন আসার আগ মুহূর্তে সব দেশের চাপ পড়েছে। আমরা আগে আগে বুকিং দিয়েছি, আগে আগে টাকা পাঠিয়েছি, রিকোয়েস্ট করেছি। অন্যরা এখন চাপ সৃষ্টি করছে। আমরা তিন কোটি ভ্যাকসিনের টাকা অলরেডি দিয়ে দিয়েছি। ২০ লাখ ভ্যাকসিন ভারত সরকার বাংলাদেশের মানুষকে উপহার হিসেবে দিয়েছে। আমাদের কাছে এই মুহূর্তে ৭০ লাখ ভ্যাকসিন আছে। ডব্লিউএইচওতে আমাদের সাড়ে ছয় কোটি ভ্যাকসিনের অর্ডার দেওয়া আছে। যখন পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন থাকবে তখন তারা আমাদের সরবরাহ করবে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যত জনকে ভ্যাকসিন দিয়েছি সবাই ভালো আছেন। যারা যারা এ ভ্যাকসিন দিচ্ছে যেমন ইউরোপে, ভারতে সব জায়গায় আমরা খোঁজ খবর নিয়েছি। তারা সবাই ভালো আছে।

অবহিতকরণ সভায় জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমি আখন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, ডায়াবেটিস সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু, সাধারণ সম্পাদক অতীন্দ্র চক্রবর্তী বিপ্লব প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত