কোমর ব্যথা, জেনে নিন সহজ সমাধান

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৩, ১৩:০৮

সাহস ডেস্ক
ছবি : ইন্টারনেট

অনেকেই আছেন যারা প্রায়ই কোমর বা মাজা ব্যথায় ভোগেন। দীর্ঘদিন এভাবে ব্যথা থাকার কারণে কর্মক্ষমতা হ্রাস পাওয়া থেকে একপর্যায়ে দৈনন্দিন কাজ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন—মেরুদণ্ডের পশ্চাৎদেশীয় অংশে অতিরিক্ত চাপ বেড়ে যাওয়ার জন্য এ ব্যথা হয়ে থাকে। কখনো মেরুদণ্ডের হাড়ের (কশেরুকা) বয়সজনিত ক্ষয়ের (লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস) জন্য হয়। আবার কখনো দুই কশেরুকার মাঝের কচি হাড় পেছনে সরে গেলে কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। শুরুতে চিকিৎসা না নিলে একসময় এটা চিরস্থায়ী রোগে রূপ নেয়।

অস্ত্রোপচার ছাড়া কোমরের সুরক্ষা কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ডায়াগনস্টিক পয়েন্ট অ্যান্ড রিসার্চ ল্যাবের চিফ মেডিকেল অফিসার, এমবিবিএস, এমপিএইচ (কোর্চ) ডা. মুহম্মদ মুহিদুল ইসলাম কথা বলেছেন। এবার তার দেয়া পরামর্শগুলো জেনে নেয়া যাক।

হাঁটা, দাঁড়ানো ও বসা অবস্থায় কোমরকে সোজা বা টান টান রাখার চেষ্টা করতে হবে। হেলান দেয়ার সময় পিঠ ও কোমর চেয়ারের পিঠে ঠেকিয়ে বসতে হবে। চেয়ারের পিঠ ও কোমরের মধ্যে যেন কোনো ফাঁকা না থাকে। সামনের দিকে ঝোঁক দেয়া যাবে না। নিচু জায়গা থেকে কখনো কিছু উপরে তোলার প্রয়োজন হলে কোমর সোজা রেখে হাঁটু গেড়ে বসার চেষ্টা করতে হবে। জিনিসটি ধরার পর কোমর সোজা রেখেই আবার উঠে দাঁড়াতে হবে।

ভারী কোনো বস্তু বা জিনিস বহন করা যাবে না। খুবই জরুরি হলে দুই হাত সমান ভাগ করে তবেই ওজন বহন করতে হবে। দীর্ঘদিন যদি বসে কাজ করতে হয় সেক্ষেত্রে কোমর সোজা রেখে কাজ করতে হবে। মাঝে মাঝে উঠে দাঁড়িয়ে কোমর টানটান করতে হবে এবং কিছুক্ষণ হাঁটতে হবে। আবার একটানা দীর্ঘ সময় হাঁটা বা দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না।

খাদ্যাভ্যাসের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কখনো যেন স্বাস্থ্য বেড়ে না যায়। স্বাস্থ্য যদি বেড়ে যায় তাহলে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে হবে। এ জন্য খাদ্যতালিকায় কখনো চর্বিযুক্ত খাবার, গরু ও খাসির মাংস কম রাখতে হবে। একইসঙ্গে ফাস্টফুড এড়িয়ে চলতে হবে। সবসময় পরিমিত খাবার খেতে হবে। খাবার প্লেটে সবজির পরিমাণ বেশি বেশি রাখতে হবে।

নিয়মিত শারীরিক চর্চা করতে হবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করতে হবে। এছাড়া সমস্যা অসহনীয় কিংবা তীব্র আকার ধারণ করলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত