করোনায় আতঙ্কিত না হলেও আমরা চিন্তিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২২, ১৮:১১

সাহস ডেস্ক

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত না হলেও স্বাস্থ্য বিভাগ চিন্তিত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা সফল হয়েছিলাম। কিন্তু আবারও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। আমরা আতঙ্কিত না হলেও চিন্তিত।’ রবিবার (২৬ জুন) বিকালে রাজধানীর মহাখালীতে আইসিডিডিআর,বিতে কলেরা টিকা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের টার্গেটকৃত প্রায় সবাইকেই টিকার আওতায় এনেছি। এতে সংক্রমণ এক শতাংশের নিচে চলে এসেছিল। আমাদের মৃত্যু প্রায় শূন্যের কোটায়। কিন্তু এখন আবার সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশে উঠে এসেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। তিনি বলেন, করোনায় মন্ত্রণালয়ের অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিসেও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের সচেতন হতে হবে। সবাইকেই মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

কলেরা টিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কলেরা ও ডায়রিয়া প্রতিরোধে ঢাকার সংক্রমণপ্রবণ পাঁচটি এলাকার ২৩ লাখ মানুষকে ওরাল ভ্যাকসিন খাওয়ানো হবে। আমরা এক থেকে সকল বয়সী মানুষকে এই টিকা দেব। আমরা প্রথমবারের মতো দেশে এই ভ্যাকসিন দেব। এর আগে ট্রায়ালে যে সব এলাকায় টিকা দিয়েছি সেখানে কলেরার প্রাদুর্ভাব একদম কমে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আমাদের শ্রমিকদের কলেরার টিকা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, আমাদের অনেক শ্রমিকের দেহে কলেরার জীবাণু পাওয়া গেছে। তাই করোনা টিকার মতো ভবিষ্যতে আমরা তাদেরকেও কলেরার টিকা দিয়ে বিদেশে পাঠাবো।

জাহিদ মালেক বলেন, সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে আমরা বহুদিন যুদ্ধ করছি। এক পর্যায়ে আমরা সংক্রামক রোগগুলো প্রতিরোধে অনেকাংশেই সফল হয়েছি। একসময় মহামারিত রূপ নেয়া রোগগুলো এখন শুধুমাত্র সিজনাল রোগ হিসেবে নির্দিষ্ট সময়ে দেখা যায়। এক সময় ডায়রিয়া-কলেরায় হাজার হাজার মানুষ মারা যেতো। এখন তা হয় না। এর পেছনে সরকার ও আইসিডিডিআরবির গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। সরকার সারাদেশে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা করেছে। সরকার এসব রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছে। সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার থেকে আমরা প্রতিটি জেলা-উপজেলা হাসপাতালে কলেরা-ডায়রিয়া ইউনিট চালুর নির্দেশ দিয়েছি।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহামিদ আহমেদ, ড. মু. শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও ইনফেকশন ডিজিজ ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. ফেরদৌসী কাদরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত