অতিতের সব রেকর্ড ভেঙে করোনায় মৃত্যু ১৬৪, শনাক্তও সর্বোচ্চ

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২১, ১৭:২৭

সাহস ডেস্ক

দেশে বেড়েই চলছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। প্রতিদিন শতাধিক মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজও দেড় শতাধিক মৃত্যুর খবর দিয়েছে অধিদপ্তরটি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে দেশে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। গতকাল সর্বোচ্চ ১৫২ জনের মৃত্যুর খবর দেয়া হয়েছিল। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২২৯ জন।

এর আগে মৃত্যুতে সর্বোচ্চ সংখ্যা ৩ জুলাই ১৩৪ জন, ২ জুলাই ১৩২ জন এবং ১ জুলাই ১৪৩ জন মারা যান। তারও আগে ৩০ জুন ১১৫ জন, ২৯ জুন ১১২ জন, ২৮ জুন ১০৪ জন এবং ২৭ জুন মারা যান ১১৯ জন। এ নিয়ে টানা ৯ দিন ধরে দৈনিক মৃত্যু একশ’ ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের রেকর্ডও ভেঙেছে আজ। করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৯ হাজার ৯৬৪ জন। একদিনে দৈনিক শনাক্তের এত সংখ্যা এর আগে দেখেনি বাংলাদেশ। গতকাল একদিনে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৬৬১ জন শনাক্ত হয়েছিল। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ জনে।

সোমবার (৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ১৮৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৮২ জন।

মারা যাওয়া ১৬৪ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন , বেসরকারি হাসপাতালে ২৫ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন ১৫ জন। হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে একজনকে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৬৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১০৯ জন, এবং ৫৫ জন নারী। এদের মধ্যে ১২৩ জন হাসপাতালে এবং বাড়িতে ২৫ জন মারা গেছেন। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৮৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চারজন রয়েছেন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেছেন ১০ হাজার ৭৮৫ জন এবং নারী মারা গেছেন ৪ হাজার ৪৪৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চ মারা গেছে খুলনা বিভাগে, ৫৫ জন। এরপর ঢাকা বিভাগে ৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ জন, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ১৬ জন করে, বরিশাল বিভাগে ৯ জন, সিলেট বিভাগে ৮ জন, ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৬০৫টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ৪৮টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪২৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৫ হাজার ৪২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬২টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৮৭ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩ হাজার ৫০৭ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৯৫ হাজার ৫৫৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৪৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৫৪ হাজা ৮০৭ জন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত