গোপালগঞ্জে ৭ জনের শরীরে ভারতীয় ধরন

প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২১, ১৫:৩২

সাহস ডেস্ক

গোপালগঞ্জে ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ। 

শনিবার (৫ জুন) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন।

তিনি বলেন, এ ধরন দ্রুত ছড়ায় তাই বৌলতলী, সাতপাড় ইউনিয়নে আজ শনিবার থেকে আরো ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, গত ২৮ মে শুক্রবার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট সন্দেহে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জিনম সিকয়েন্সের জন্য ১১ টি নমুনার আইইডিসিআরে পাঠায়। এর মধ্যে জিনম সিকয়েন্সে ৭ জনের দেহে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে।

গোপালগঞ্জে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সদর উপজেলার সাতপাড়, সাহাপুর ও বৌলতলী ইউনিয়নে ২৮ মে থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন দেয় স্থানীয় প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার আরো ২ দিনের লকডাউন বৃদ্ধি করে। সাহাপুরে সংক্রমণ না থাকায় ওই ইউনিয়ন থেকে লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এসময় তিনি মাস্ক ব্যবহার, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহবান জানিয়ে বলেন, ওই এলাকায় মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে। এছাড়া সংক্রমণ কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে, তা আমরা জানার চেষ্টা করবো। পাশাপাশি আমরা সংক্রমণ কমানোর জন্য  চেষ্টা করবো।

গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. এসএম সাকিবুর রহমান জানান জানান, সদর উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের তেলিভিটা গ্রামের হলধর  কীর্ত্তনীয়ার ছেলে বিভাষ কীর্ত্তনীয়া কোভিড উপসর্গ নিয়ে গত ২১ মে  মৃত্যু বরণ করেন। পরে ওই পরিবারের আরো ৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। বিভাষের সংস্পর্শে আশা ওই গ্রামের ১৮৪ জনের নমূনা দফায় দফায় সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে ৪৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। জিনম সিকয়েন্সের এদের মধ্যে ১১ জনের নমূনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। জিনম সিকয়েন্সে ৭ জনের দেহে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে। এসব এলাকার মানুষ বৈধ ও অবৈধ পথে ভারত যাতায়াত করে থাকেন। বৈধ পথে যাতায়াত কারীদের তথ্য আমাদের কাছে আছে। কিন্তু অবৈধ পথে যাতায়াতকারীদের তথ্য আমাদের কাছে নেই। অবৈধভাবে ভারত গামীরা সব সময় তথ্য গোপান করেন। এ কারণে আক্রান্তদের মধ্যে ভারতীয় ধরণ থাকার আশংকা করা হচ্ছিলো। সেই আশংকাই সত্য হয়েছে।

সংক্রমণ প্রতিরোধে সাতপাড়, ও বৌলতলী ইউনিয়নের সব হাট বাজার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই এলাকার মানুষের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত তেলিভিটা গ্রাম সহ ওই ৩ ইউনিয়নে মাত্র ৫০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সাহাপুর ইউনিয়নে তেমন সংক্রমণ নেই। আক্রান্তরা বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তেলিভিটা গ্রামের সাথে আশপাশের সব গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। মধুমতি নদী পারাপাড়ের  খেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অতিপ্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত