এবার পতনের মুখে কান্দাহার

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২১, ১১:০৬

সাহস ডেস্ক

সুযোগ সন্ধানী আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে তাদের পাত্তারি গুটিয়ে চলে যাওয়ার পরপরই মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে কথিত ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবানরা। একের পর এক শহর দখলে নিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে আর চালাচ্ছে লুটপাট। এই মধ্যে দখল করে নিয়েছে দেশটির অন্যতম বড় শহর হেরাতের। একই সাথে এই  জঙ্গিগোষ্ঠী দাবি করেছে তারা কান্দাহার শহরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে।

তালেবানের এক মুখপাত্র টুইট করে বলেন, কান্দাহার সম্পূর্ণভাবে জয় করা হয়েছে। তালেবান যোদ্ধারা শহরের শহীদ চত্বরে পৌঁছে গেছে। 

স্থানীয় এক বাসিন্দাও কান্দাহার তালেবানের দখলে যাওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, শহর থেকে গণহারে সরকারি বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এদিকে নিরপেক্ষ সূত্র থেকে কান্দাহার দখলের এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। 

একসময় কান্দাহার তালেবানের শক্ত ঘাঁটি ছিল। কৌশলগতভাবে শহরটির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। তাই শহরটির দখল তালেবানের জন্য একটা বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মিডিয়ার একজন সংবাদদাতা বলেছেন, শহরটির গভর্নরের দফতরের কাছেও তালেবান সদস্যদের দেখা গেছে।  বুধবার বিকালে তালেবান দাবি করেছিল, তারা শহরটির কেন্দ্রীয় কারাগার দখল করে সেখানকার কয়েকশ’ বন্দিকে ছেড়ে দিয়েছে।

হেরাত শহর দখল করেই সেখানকার প্রধান কারাগারের তিন হাজার বন্দিকে ছেড়ে দিয়েছে তালেবান।  

তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছেন, তাদের ‘সেনারা’ হেরাতের পুলিশ সদর দফতরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের একের পর এক শহরের পতন ঘটছে। এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার এক দিনেই গজনি, হেরাত ও কালা-ই-নাউ শহরের দখল নেয় তালেবান। এর আগে ফাইজাবাদ, ফারাহ, পুল-ই-খুমরি, জারাঞ্জ, কুন্দুজ, তাকহার, সার-ই-পল, তালুকান ও সেবারঘান শহর তালেবানের দখলে যায়। আফগানিস্তানে মোট ৩৪টি প্রদেশ রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৪টির রাজধানী শহর দখলে নেওয়ার দাবি করেছে তালেবান। 

বিবিসি অনলাইন জানায়, আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকাই এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। দেশটির আঞ্চলিক রাজধানীগুলোর এক-তৃতীয়াংশ এখন তালেবানের দখলে। 

আফগানিস্তানের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলেও তালেবানের সঙ্গে সরকারি সেনাদের তীব্র সংঘর্ষ চলছে। হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ প্রাণভয়ে রাজধানী কাবুলের দিকে পালিয়ে যাচ্ছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশন বলেছে, হাজার হাজার আফগান শরণার্থীর জন্য মানবিক ত্রাণ প্রয়োজন।  

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত