গুয়ানতানামো বে সামরিক কারাগারটি বন্ধ করতে পারেন বাইডেন

প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:০৯

সাহস ডেস্ক

কিউবার গুয়ানতানামো বে সামরিক কারাগার বন্ধ করতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক পর্যালোচনা শুরু করেছেন বাইডেনের সহযোগীরা।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বরাতে এমন খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

জেন সাকি বলেন, কারাগারটির বর্তমান ভূমিকা নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে একটি মূল্যায়ন দাঁড় করাতে বাইডেন প্রশাসন কাজ করছে, যা আগের প্রশাসনের কাছ থেকে আমরা পেয়েছি।

বাইডেনের মেয়াদেই কারাগারটি বন্ধ করে দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জেন সাকি বলেন, এটিই আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র এমিলি হর্ন বলেছেন, পূর্ববর্তী প্রশাসনের কাছ থেকে পাওয়া এই কারাগারের বর্তমান অবস্থার মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার দায়িত্ব আমরা নিয়েছি। এটি বন্ধ করে দেওয়ার উদ্দেশ্য থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সীমানার বাইরে এই কারাগারে জঙ্গি সন্দেহে মানুষকে বন্দী করা হয়। তাদের ওপর নানা নির্যাতন চলে। গুয়ানতানামো বে কারাগারে বন্দী নির্যাতন নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে।

বিতর্কিত এই বন্দিশিবিরটি বন্ধে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আমলের লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। বারাক ওবামা তার নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া এই অঙ্গীকারটি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি।

বন্দিশিবিরটি থেকে কিছু আটক ব্যক্তিকে মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওবামা। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে আপসের কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তখন বাইডেন ছিলেন ওবামার ভাইস-প্রেসিডেন্ট।

২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গুয়ানতানামো কারাগার চালু রাখার ঘোষণা দেন। সে সময় ট্রাম্প বলেন, মন্দ লোকজনকে দিয়ে কারাগারটি ভর্তি করা হবে। জর্জ বুশের সময় থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মার্কিন গোয়েন্দারা জঙ্গি সন্দেহে লোকজনকে আটক করে এই কারাগারে রেখেছেন। এখনো সেখানে ৪০ জন বন্দী আটক থাকার কথা জানা যায়। এর মধ্যে ২৬ জনকে ভয়ংকর জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করেছে মার্কিন প্রশাসন।

৯/১১-এর পর ‘জঙ্গিদের’ আটক রাখতে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ কিউবায় অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটিতে এই কারাগারটি চালু করেন তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ।

১৯০৩ সালের হাভানা চুক্তির আওতায় কিউবা থেকে ইজারা নিয়ে মার্কিন এই ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছিল। কারাগারটি চালু করার পর থেকে বেশ দ্রুত এর কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সারা দুনিয়ায়। খাঁচার ভেতর বেড়ি ও হাতকড়া পরা কয়েদিদের ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর এই কারাগার ঘৃণার প্রতীক হিসেবে পরিচিত হয় মানুষের কাছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত