বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন ব্যবহারে ডব্লিউএইচওর সঙ্গে চীনের আলোচনা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জরুরি ওষুধ ও স্বাস্থ্য প্রযুক্তিবিষয়ক সমন্বয়কারী সকোরো এসকাল্যান্তে বলেছেন, ‘জরুরি ব্যবহারের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিনের তালিকায় চীনা ভ্যাকসিনের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে বেইজিং প্রাথমিক আলোচনা করেছে।’

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক পরিসরে ভ্যাকসিন সহজলভ্য করার লক্ষ্যে চীন এ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

চীন নিজ দেশের জরুরি কর্মী এবং অন্যান্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মাঝে স্থানীয়ভাবে তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করেছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ না করে চীনে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করায় এর সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

এসকাল্যান্তে বলেছেন, ‘জরুরি ব্যবহারের তালিকাভূক্তির মাধ্যমে ভ্যাকসিনের গুণগত মান, সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার মূল্যায়ন করা যেতে পারে। পরবর্তীতে এটি আমাদের লাইসেন্সের জন্যও সহজলভ্য হতে পারে।’

চীনের তৈরি করোনাভাইরাসের অন্তত চারটি ভ্যাকসিন বর্তমানে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ ধাপে রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ভ্যাকসিন রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপের (সিএনবিজি) এবং বেসরকারি কোম্পানি সিনোভ্যাক বায়োটেক এবং ক্যানসিনো বায়োলজিকসের একটি করে রয়েছে।

বর্তমানে এসব ভ্যাকসিন পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও চীনের তৈরি একটি ভ্যাকসিনের প্রয়োগের আলোচনা চলছে।

উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সিএনবিজির একটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরুর মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে ওই ভ্যাকসিনটির জরুরি ব্যবহারের অনুমতি পায়।

জরুরি ব্যবহারের জন্য কোনও ভ্যাকসিন কিংবা চিকিৎসা ব্যবস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকাভূক্ত হলে জনস্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা বিবেচনায় সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার জন্য সেসবের মূল্যায়ন করে সংস্থাটি। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশ ও জাতিসংঘের অন্যান্য সহযোগী সংস্থাকে ভ্যাকসিনের গ্রহণযোগ্যতা শনাক্তে সহায়তা করে।

সূত্র: রয়টার্স