রোহিঙ্গা সংকট

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাশ

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৪:২৭

সাহস ডেস্ক

রোহিঙ্গাসহ সংখ্যালঘু বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ওপর বর্বর নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধের তাগিদ দিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে উত্তেজনা প্রশমনে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয় প্রস্তাবটিতে।

শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আনা নিন্দা প্রস্তাবে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৩৪টি দেশ আর বিপক্ষে ভোট পড়ে নয়টি। ভোটদানে বিরত ছিল ২৮টি দেশ।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করে দেখার জন্য তহবিল বরাদ্দ করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। জাতিসংঘ তিনশো সাত কোটি ডলারের এই তদন্ত তহবিলে প্রথমবারের মতো সিরিয়া ও মিয়ানমারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নিন্দা প্রস্তাবের তীব্র বিরোধীতা জানিয়ে মিয়ানমারের জাতিসংঘ প্রতিনিধি হাউ দো সুয়ান বলেন, এ নিন্দা প্রস্তাব মানবাধিকার নীতির দ্বিমুখী প্রয়োগের এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। মিয়ানমারকে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে রাজনৈতিকভাবে চাপে ফেলতেই এটি পাস করা হয়েছে। রাখাইনের জটিল পরিস্থিতি সমাধানে এ প্রস্তাবে কোনো সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হয়নি। এমনকি এতে রাখাইন সমস্যার ব্যাপারে মিয়ানমার সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টাকেও স্বীকার করা হয়নি।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাশ হওয়া কোন প্রস্তাব দেশটি মানতে বাধ্য না হলেও, বিশ্ব মতামতের ক্ষেত্রে এ ধরণের প্রস্তাব প্রভাব ফেলে থাকে।

গত নভেম্বর মাসে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মামলা করে গাম্বিয়া, যে শুনানিতে হাজিরা দিয়েছেন দেশটির নেত্রী অং সান সু চি।

মিয়ানমারে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে রোহিঙ্গা মুসলমান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের যেসব তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেছিল একটি স্বাধীন তদন্ত দল, সেগুলোও তুলে ধরা হয় নিন্দা প্রস্তাবে। সেসব ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইনে চরম অপরাধ বলে মিশনটি বর্ণনা করেছিল।

এই প্রস্তাব অনুমোদনের পর জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হাও দো সুয়ান একে ''মানবাধিকার লঙ্ঘনের নামে আরেকটি বৈষম্যমূলক ও বিশেষভাবে বাছাই করার দ্বৈত আচরণ'' বলে বর্ণনা করেছেন, যার মাধ্যমে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চাপ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তার অভিযোগ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত