চীনে কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর পুর্তি

'এ জাতির অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না'

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:৫৫

দুনিয়ার এমন কোনো শক্তি নেই যা এই মহান জাতিকে ঝাঁকুনি দিতে পারে। ১ অক্টোবর কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে বেইজিংয়ের তিয়ানানমেন স্কয়ারে সামরিক প্যারেডে দেওয়া এক বক্তব্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই মন্তব্য করেছেন।

শি জিনপিং বলেন, এ দেশের মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম। ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে চীনা জাতি আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে। সুতরাং এ জাতির অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।

তিনি বলেন, চীনের বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী এবং এ ভূখণ্ডের দেশপ্রেমিক মানুষ পুরো দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। চীনের উন্নয়নে সমর্থন জোগানো সব বন্ধু জাতিরাষ্ট্রের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

বক্তৃতায় হংকং, ম্যাকাও ও তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী জনগণকে হুঁশিয়ার করে শি জিনপিং বলেন, পুনরায় একত্রীকরণের জন্য বেইজিং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীন সরকার সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশটির স্থিতিশীলতা রক্ষা করবে। আমাদের অবশ্যই শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলন এবং 'এক দেশ দুই নীতি'র বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে। হংকং এবং ম্যাকাও-তে আমরা দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি বজায় রাখবো। আমরা পুরো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করবো। দেশের সম্পূর্ণ পুনর্মিলনের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

বলা হচ্ছে, কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই সামরিক কুচকাওয়াজ চীনা ইতিহাসের সর্ববৃহত আয়োজন। এতে চীনের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পার্টির পলিট ব্যুরোরা। ছিলেন সামরিক উচ্চপদস্থ কর্তারা। তাছাড়া, আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রায় ১০০টি দেশের সামরিক অ্যাটাশেদের।

চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে বেইজিং ‘পেশিশক্তি’ প্রদর্শন করছে না। এর প্রয়োজনীয়তাও দেখছে না তারা। বরং এর মাধ্যমে ‘শান্তিকামী ও দায়বদ্ধ চীনকে’ উপস্থাপন করছে বেইজিং।

বিবিসি জানিয়েছে, চীনের নিজস্ব প্রযুক্তিতে বানানো নতুন ক্ষেপণাস্ত্র, স্টিলথ ও মনুষ্যবিহীন যন্ত্রের সক্ষমতার এ প্রদর্শনী নিয়ে দেশটির সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) খুবই আগ্রহী। এতে সড়কে সহজে পরিবহনযোগ্য ডিএফ-৪১ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের অত্যাধুনিক ভার্সনটি প্রথমবারের মতো প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চীনা সমর বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, এ মারণাস্ত্রটি বিশ্বের যে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে এবং একই সময়ে ১০টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের এশিয়া প্যাসিফিক নিরাপত্তা বিষয়ক শাংরি-লা ডায়লগের জ্যেষ্ঠ ফেলো আলেক্সান্ডার নেইল বলেন, ‘কুচকাওয়াজে অত্যাধুনিক অনেক মারণাস্ত্র প্রদর্শন করতে পারলেও চীন এখনও সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় কয়েক দশক পিছিয়ে আছে।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত