২৯ জুলাই: বিশ্ব বাঘ দিবস

প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০১৯, ০০:৩৬

আজ বিশ্ব বাঘ দিবস। বাঘ আছে বিশ্বের এমন ১৩টি দেশ একযোগে দিবসটি পালন করে আসছে। দিবসটি ঘিরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সমাবেশ, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

এ ছাড়া বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ শরণখোলা ও মংলা উপজেলায় সমাবেশ এবং আলোচনা সভা করা হবে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সংগঠনও দিবসটি পালন করবে।

বাঘ  বড় বিড়াল জাতের অন্তর্ভুক্ত একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। সিংহ, চিতাবাঘ ও জাগুয়ারের সঙ্গে প্যানথেরা গণের চারটি বিশালাকার সদস্যের মধ্যে এটি একটি। এটি ফেলিডি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত সবচেয়ে বড় প্রাণী। বাঘ ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় পশু। পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার অনেক এলাকায় একে দেখা যায়। 'অ্যানিম্যাল প্ল্যানেট' চ্যানেলের সমীক্ষা অনুযায়ী বাঘ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রাণী।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাঘ বাঁচাতে নানা উদ্যোগ নিলেও সুন্দরবনে বাঘের মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ১৯৮০ থেকে ২০১২ সালের জুলাই পর্যন্ত গত ৩২ বছরে সুন্দরবন ও সংলগ্ন এলাকায় শিকারিদের হানা, গ্রামবাসীর পিটুনি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৬৭টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।

বন বিভাগ জানিয়েছে, যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে সুন্দরবনে বাঘ রক্ষায় বেশি মনোযোগী সরকার। যার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপে সুন্দরবনে দস্যুতা এবং চোরা শিকারিদের তৎপরতা কমেছে। সেই সঙ্গে স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। এসব কারণে সুন্দরবনে আগের তুলনায় বাঘ অনেকটা সুরক্ষিত এবং বাঘের বিচরণক্ষেত্রও নিরাপদ হওয়ার ফলে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০০৪ সালে বাংলাদেশে মোট বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০টি, যা কমতে কমতে ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১১৪টি টিতে। এখন পর্যন্ত ধারণা করা হয়, ১১৪টি বাঘ আছে বাংলাদেশের সুন্দরবনে। এর আগে ২০১৫ সালে ইউএসএআইডি বাঘ (USAID BAGH) প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে পরিচালিত জরিপে সুন্দরবনে ১০৬টি বাঘের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়েছিল। গত এক দশকে এই সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ক্যামেরা পদ্ধতিতে সুন্দরবনের বাঘগুলো গণনা করা হয়।

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত