জাকির নায়েকের ১৬ কোটি ৪০ লাখ রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

বেআইনিভাবে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে ইসলাম ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েক ও তার পরিবারের সদস্যদের ১৬ কোটি ৪০ লাখ রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

এ নিয়ে তৃতীয়বার জাকির ও তার আত্মীয়দের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করলো ভারতের এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখন পর্যন্ত ৫১ কোটি রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

ইডি সূত্রে জানা গেছে, জাকির নায়েক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক অবৈধ আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। ফলে প্রথমে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার একটি সাময়িক নির্দেশ জারি করা হয়। ভারতের মুম্বইয়ের ফতিমা হাইটস, আফিয়া হাইটসসহ ভান্ডুপ এলাকায় একটি বেনামি প্রজেক্টে জাকিরের আত্মীয়দের লগ্নি করা রয়েছে বলেও জানতে পেরেছেন ইডির তদন্তকারী অফিসারেরা। সেইসঙ্গে পুনেতে এনগ্রাসিয়া নামের একটি প্রজেক্টের সঙ্গেও তারা জড়িত বলে জানতে পেরেছে ইডি।

ভারতের ইউপিএ আইন অনুসারে ২০১৬ সালে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে মুম্বাইয়ের একটি আদালতে জাকির নায়েক ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে চার্জশিট ও দায়ের করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।

আদালতে তদন্তকারীরা জানায়, ইসলাম ধর্মের নামে ইচ্ছাকৃতভাবে উগ্রবাদ ছড়াতেন জাকির নায়েক। এমনকি ধর্মীয় ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর ভাষণও দিতেন তিনি। তার সংগঠন ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও পিস টিভি এই ধরনের কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলো।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ঢাকার হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার সঙ্গে যোগসূত্র মেলে এই বিতর্কিত ইসলাম ধর্মপ্রচারকের। জানা যায়, জাকির নায়েকের পিস টিভিতে বিদ্বেষমূলক ভাষণ শুনেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলো ওই হামলার দুই জঙ্গি। এরপরেই তদন্ত শুরু করে ভারত। তদন্তে জানা যায়, জেহাদি কাজকর্মের মদত দেয়া হতো জাকির নায়েকের সংস্থায়। সঙ্গে সঙ্গে পিস টিভি ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার। জাকির নায়েককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত, বাংলাদেশ, ব্রিটেনসহ একাধিক দেশ। তারপরই ভারত ছেড়ে পালিয়ে যান জাকির নায়েক।