গ্রিসজুড়ে ভয়াবহ দাবানল, ২০ জনের মৃত্যু

গ্রিসজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানলে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। আগুন নিয়ন্ত্রণে হাজার হাজার দমকলকর্মীর লড়াইয়ের মধ্যেই রাজধানী এথেন্সের কাছাকাছি অনেক এলাকার লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ জটিল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দমকলকর্মীরাও।

পরিস্থিতির মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহায়তাও চেয়েছে তারা। মঙ্গলবার সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রিস জানাকাপৌলোস দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। কোস্টগার্ড পরে সমুদ্র থেকে আরও চারজনের মৃতদেহ উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

জানাকাপৌলোস শতাধিক আহতের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা গুরুতর বলেও জানিয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৬টি শিশুও আছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের আগুনের হাত থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে সমুদ্রে আশ্রয় নিতে হয়েছে।

উপকূলীয় রিসোর্ট মাটির কোস্তাস ল্যাগোনাস বলেন, ভাগ্যভালো যে সমুদ্র ছিল, আমরা সেখানে যেতে পেরেছি, আগুন আমাদের পানি পর্যন্ত পুরোটা পথ তাড়িয়ে নিয়েছে। ঈশ্বরকে আমি বলেছিলাম, নিজেদের বাঁচাতে হলে দৌঁড়াতে হবে। পেছনের সবকিছু পুড়ে গেছে এবং আমরা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছি।

আগুন নিয়ন্ত্রণে জরুরি বিভাগের সব কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিপারাস। এথেন্সের আশপাশের অ্যাটিকা অঞ্চলজুড়ে জরুরি অবস্থাও জারি করেছেন তিনি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছে হেলিকপ্টার ও অতিরিক্ত দমকলকর্মী চেয়েছে গ্রিসের সরকার। অনুরোধে সাড়া দিয়ে ইতালি, জার্মানি, পোল্যান্ড ও ফ্রান্স এরই মধ্যে অতিরিক্ত বিমান, যানবাহন ও দমকলকর্মী পাঠিয়েছে।