ইউরো ২০২০

ডেনিশদের হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে ইংল্যান্ড

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২১, ০৪:১৯

সাহস ডেস্ক

অতিরিক্ত সময়ে বক্সের ভেতর রহিম স্টার্লিংকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেলান্টি থেকে স্পট কিক নেন হ্যারি কেন। কিন্তু ডেনিশ গোলরক্ষক স্মাইকেলের গায়ে লেগে ফিরে আসে বল। ফিরতি বল পেয়ে জাল খুঁজে নেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন। তার এই গোলে ডেনমার্ককে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে পৌঁছে গেছে ইংল্যান্ড।

ডিবক্সের ভেতরে রহিম স্টার্লিংকে ফাউল করেন ডেনিশরা

আজ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইউরো ২০২০ এর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে গ্রেথে উঠে গেছে সাউথগেটের শিষ্যরা। দুই দলের এই তিন গোলের মধ্যে দুটি গোলই করেছেন ডেনিশরা। নিজেদের হয়ে মিকেল ডামসগার্ড ১টি গোল করেন এবং অন্যটি সিমন কেজার আত্মঘাতী গোল করেন। ইংলিশদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন হ্যারি কেন।

এই জয়ে ৫৫ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মেজর কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে নাম লেখালো ইংলিশরা। ১৯৬৬ সালে শেষবার বিশ্বকাপের মতো বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল ফুটবলের জনক বলে দাবি করা ইংলিশরা। সেবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল তারা।

এদিন শুরু থেকেই আক্রমণ চালায় ইংল্যান্ড। ম্যাচের ১২ সেকেন্ডেই ফ্রিকিক পেয়ে বসেন রহিম স্টার্লিং। ইউরোর প্রত্যেক ম্যাচেই শুরুর দিকে গোল পেয়েছে ইংল্যান্ড, এ ম্যাচেও লক্ষ্য ছিল সেটাই। ১৫ মিনিট পর্যন্ত ইংল্যান্ডই একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে, প্রেস করতে থাকে।

ফ্রি-কিক থেকে গোল করলেন মিকেল ডামসগার্ড

এরপরই মোড় ঘুরে যায়। আক্রমণে ওঠে ডেনিশরা। কিন্তু ৩০ মিনিটে সেন্টারব্যাক আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেনকে ইংল্যান্ডের লেফটব্যাক লুক শ ফাউল করলে ফ্রি-কিক পায় ডেনমার্ক। সেখান থেকে ফ্রি-কিকে দর্শনীয় এক গোলে ডেনমার্ককে এগিয়ে দেন এই ইউরোতে আলো ছড়ানো ফরোয়ার্ড মিকেল ডামসগার্ড। আর এই নিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মত শুরুতে গোল হজম করল ইংল্যান্ড।

গোল হজম করলেও হতাশ হয়নি ইংলিশরা। বরং মুহুর্মুহু আক্রমণে বিপর্যস্ত রাখে ডেনিশ রক্ষণভাগকে। ৩৮ মিনিটে স্টার্লিংয়ের এক শট দুর্দান্তভাবে আটকে দেন গোলকিপার কাসপার স্মাইকেল। কিন্তু এর ৪৮ সেকেন্ডের মাথায় লেফট উইঙ্গার বুকায়ো সাকার ক্রস পাঠান বক্সে থাকা স্টার্লিংয়ের উদ্দেশ্যে। সেখানে পা ঠেকিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান ডেনিশ অধিনায়ক সিমোন কায়ের। ৩৯ মিনিটের আত্মঘাতী এই গোলে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। পরে এই ১-১ গোলের সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঝমাঠে দখল বাড়ানোর জন্য বাড়তি মিডফিল্ডার নরগার্ডকে মাঠে নামান ডেনিশ কোচ কাসপার হিউলমান্দ। মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয় কাসপার ডলবার্গ ও গোলদাতা ডামসগার্ডকে। মাঝমাঠের দখল নিতে গিয়ে ডেনমার্কের আক্রমণ আরও ধারহীন হয়ে পড়ে যেন। কিন্তু ডেনমার্কের রক্ষণভাগ দুর্দান্ত থাকার কারণে ইংলিশদের একের পর এক আক্রমণ সামলাতে পেরেছে তারা। পরে ১-১ গোলের সমতা নিয়েই মূল ম্যাচ শেষ করে দুই দল।

গোলের পর হ্যারি কেনের উৎসব

এরপর গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এই অতিরিক্ত সময়ের ১০৪ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন। পরে বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে এই ২-১ গোলের জয় নিয়ে স্বপ্নের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে ইংল্যান্ড।

বাংলাদেশ সময় আগামী ১২ জুলাই দ্বিবাগত রাত ১টায় ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ইতালির মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত