মানের জোড়া গোলে শীর্ষেই রয়েছে লিভারপুল

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে সাদিও মানের জোড়া গোলে নিউক্যাসলকে হারিয়ে টানা পঞ্চম জয় তুলে শীর্ষেই রয়েছে স্বাগতিক লিভারপুল। এই জয়ে দুই রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন ‘অল রেডস’রা।

১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) অ্যানফিল্ডে শুরু নিউক্যাসলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।

এদিন পুরো ম্যাচেই নিউক্যাসলকে চাপে ফেলে লিভারপুল। তবে ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজার মাত্র ৭ মিনিটে পরে সেই চাপকে তাড়িয়ে গোল করে বসে সফরকারীরা। আতসুর বানিয়ে দেওয়া বল নিয়ে অসাধারণ দক্ষতায় লিভারপুল তারকা অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ডকে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে দেন নিউক্যাসলের ডিফেন্ডার জেট্রো উইলেমস।

ম্যাচের ২৮তম মিনিটে লিভারপুল শিবিরকে সমতায় ফেরান সাদিও মানে। ডি-বক্সের বাঁ দিক থেকে আক্রমণে ওঠে আসা রবার্টসনের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় গোলপোস্টের দূরের প্রান্ত দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড।

ম্যাচের ৪০তম মিনিটে অসাধারণ এক গোলে লিভারপুলকে লিড এনে দিয়ে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন সাদিও মানে। মিডফিল্ডে আতসুর কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে মানের দিকে বাড়ান লিভারপুল ফরোয়ার্ড রবার্তো ফিরমিনো। নিউক্যাসলের গোলরক্ষক দুব্রাভকা সেখানে আগেই পৌঁছে গেলেও বল ধরে রাখতে ব্যর্থ হন। বল চলে যায় মানের পায়ে আর খালি গোলমুখ পেয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান মানে। পরে ২-১ গোল নিয়ে বিরতিতে যায় দু’দল।

বিরতি থেকে ফিরে এসে ঝিমিয়ে পড়া ম্যাচে প্রাণ ফিরিয়ে আনেন মোহামেদ সালাহ। ফিরমিনোর বাড়িয়ে দেওয়া বল নিয়ে বেশ সাবলীলভাবে নিউক্যাসলের রক্ষণে ঢুকে দারুণ শটে দুব্রাভকাকে পরাস্ত করেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ফলাফল সেখানেই নির্ধারিত হয়ে যায়।

এই জয়ে ইংলিশ লিগে টানা ১৪ ম্যাচে জয়ের দেখা পেল লিভাপুল। এর আগে একই কীর্তি গড়েছিল আর্সেনাল (১৪, আগস্ট ২০০২), ম্যানচেস্টার সিটি (১৫, আগস্ট ২০১৯) এবং আবারও ম্যানচেস্টার সিটি (১৮, ডিসেম্বর ২০১৭)।

এছাড়া টানা দ্বিতীয় মৌসুমে প্রথম পাঁচ ম্যাচেই জয় পেল ‘অল রেডস’রা। একই কীর্তি নাম আছে শুধু চেলসি (২০০৯-১০/২০১০-১১) এবং ম্যানচেস্টার সিটির (২০১৫-১৬/২০১৬-১৭)।

এই জয়ে ৫ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানেই আছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি ৪ ম্যাচ খেলে ৩টিতে জয় ও ১ ড্র নিয়ে রইলো দুইয়ে।