জাতীয় দলে ভেট্টোরি-ল্যাঙ্গেভেল্ট

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০১৯, ২৩:৪৯

প্রধান কোচ নিয়োগ না হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য বোলিং ডিপার্টমেন্টে দুই কোচকে বেছে নিয়েছে বিসিবি। শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে বিসিবি'র বৈঠক শেষে নাম ঘোষণা করা হয় কোচিং স্টাফের এই দুই মুখকে।

কোচিং স্টাফে পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ এর স্থলাভিষিক্ত হলেন সাবেক সাউথ আফ্রিকান মিডিয়াম পেস বোলার চার্লস ল্যাঙ্গেভেল্ট। আর স্পিন কোচ সুনীল জোশির জায়গায় সাকিব-মিরাজ-তাইজুলদের গুরু হলেন সাবেক কিউই অধিনায়ক ডেনিয়েল ভেট্টোরি।

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ শেষে দলের ব্যর্থতার দায়ভার দিয়ে প্রায় পুরো কোচিং স্টাফই বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাড়ির পথ ধরেছিলেন হেড কোচ স্টিভ রোডস। ছাটাই করা হয়েছে বোলিং কোচ, স্পিন বোলিং কোচ আর ট্রেইনারকেও। দলের সাথে থাকার গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছে নেইল ম্যাকেঞ্জি। মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি পর্যন্ত।

তবে নতুন ওস্তাদদের মধ্যে পূর্ণ মেয়াদে বাংলাদেশ পাচ্ছে না ডেনিয়েল ভেট্টোরিকে। তার মেয়াদ মাত্র ১০০ দিন। তবে এর মধ্যেই থাকছে ভারত সফর, এশিয়া কাপ, ২০২০ সালে নিউজিল্যান্ড সফর ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে দুই পক্ষের সমঝোতা হলে বাড়তে পারে মেয়াদ।

বিসিবি সভাপতি বলছেন, যে সময়ের জন্যই আনা হোক, তার কাছ থেকে সেরাটা নেওয়ার চেষ্টা থাকবে, 'সে অনেক প্রাণবন্ত। এই সময়ে সে স্কিল ক্যাম্পে কাজ করব। নতুন খেলোয়াড় বের করে আনতে কাজ করবে।'

এদিকে পেস বোলিং কোচ ল্যাঙ্গেভেল্টের সঙ্গে ২ বছরের আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করে ফেলেছে বোর্ড। জাতীয় দল শ্রীলঙ্কা সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরলেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।

বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন বলেন,  'পেস বোলিং কোচ হিসেবে আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার চার্লস ল্যাঙ্গেভেল্টকে বেছে নিয়েছি। তার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তিও হয়ে গেছে। আগামী ২ বছর কাজ করবেন তিনি। তবে ভেট্টোরির সঙ্গে এখনও চুক্তি হয়নি। মৌখিকভাবে তিনি রাজি হয়েছেন কাজ করতে। অচিরেই চুক্তি করে ফেলা হবে।'

সম্প্রতি দলের ফিল্ডিং খুব ভাবাচ্ছে বিসিবিকে। সভায় নাকি কথা হয়েছে ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুককে নিয়েও। বিসিবির সভাপতি জানালেন, 'ফিল্ডিং কোচ নিয়ে কথা হয়েছে (সভায়)। আমাদের ধারণা ছিল ফিল্ডিং কোচ ভালো। বিশ্বকাপে আমাদের ফিল্ডিং নিয়ে মাথা ব্যথা ছিল। কালকের (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে) ম্যাচের পর যেটা মনে হলো, এ রকম ফিল্ডিং কল্পনা করা যায় না! বল বা ব্যাটিং খারাপ করলে বাদ দিয়ে দিই খেলোয়াড়দের। ফিল্ডিং খারাপ করলে কিছু বলি না। আজ আমরা আলোচনা করেছি, ফিল্ডিংও ভালো হতে হবে। ফিল্ডিংয়ে ভালো না হলে জায়গা হবে না। সে (কুক) আসুক, জানতে চাইব বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিংয়ের এই দশা কেন? তার জবাবটা পেয়ে নিই তারপর বাকি সিদ্ধান্ত।'

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত