অহংকারেই পতন ঘটছে অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:১৫

সাহস ডেস্ক

অহংকার এবং প্রতিপক্ষকে সবসময় দমিয়ে রাখার প্রবণতা; এ দুই কু-মানসিকতায় দিন দিন বিপথে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট।

আজ ২৯ অক্টোবর (সোমবার) সিডনির এথিকস সেন্টারের স্বাধীন এক রিপোর্টে উঠে এসেছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সম্পর্কে ভয়ঙ্কর এমন তথ্যই।

চলতি বছরের শুরুতে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউল্যান্ডস টেস্টে সিরিজ কাগজ দিয়ে বল বিকৃত করতে গিয়ে জাতীয় দল থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন অজিদের তখনকার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। আর নয় মাসের নিষেধাজ্ঞা পান ক্যামেরন বেনক্রফট।

এথিকস সেন্টারের সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘মাঠে খেলোয়াড়দের দুষ্কর্মের দায় কিছুতেই এড়িয়ে যেতে পারে না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।’

আরো বলা হয়েছে, ‘প্রকৃত সত্য কিছুতেই এড়িয়ে যেতে পারে না সিএ। আর নিউল্যান্ডস কাণ্ডে খেলোয়াড়রা একাই দায়ী ছিলেন না।’

পুরুষদের ক্রিকেটে অভিজাত সংস্করণে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক অনভিপ্রেত কাণ্ড আর হয়রানি মূলক সংস্কৃতির বিষয়গুলিই উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে।

ধুয়ে দেয়া হয়েছে সিএ-এর প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড এবং টিম পারফরম্যান্স প্রধান প্যাট হাওয়ার্ডকেও। কোনো প্রকার নৈতিক নির্দেশনা ছাড়া ক্রিকেটারদের কেবল মুখস্থ বুলি শিখিয়ে মাঠে খেলতে পাঠানোকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মস্ত বড় ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

‘সিএর সুবিধাভোগী সবার মধ্যে একটাই মিল যে তারা ক্রমাগতভাবে এর মূল্য আর নীতি থেকে বারবার সরে যাচ্ছে। সিএ বলে এক আর করে আরেক। তাদের সম্পর্কে বেশি বলা শব্দ হল অহংকারী এবং তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।’

এমন কঠিন, দাঁতভাঙ্গা প্রতিবেদনকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে সিএ। বোর্ডের চেয়ারম্যান ডেভিড পিভার একে দেখছেন নিজেদের কর্মের আয়না হিসেবে, ‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সবাইকে এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে এবং আমি এরজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ভুল হয় করার জন্যই, শিখতে হয় শেখার জন্য, আর পরিবর্তন আসে পুরনোকে ঠেলে জায়গা করে নিতে।’

সাহস২৪.কম/শামীম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত