জিম্বাবুয়ে বোর্ড প্রধানের বিরুদ্ধে স্ট্রিকের মানহানি মামলা

প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:৪৮

সাহস ডেস্ক

২০১৯ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকে মূলপর্বে আসতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। মূলপর্বে আসতে না পারায় দলের কোচ এবং অধিনায়কসহ অনেককে বহিস্কার করেছিল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। শুধু বহিস্কার নয় দলের হেড কোচ হিথ স্ট্রিককে ‘বর্ণবাদী’ বলেছিলেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান তেভেঙ্গা মুকুহলানি।

এমন মন্তব্যের পর ভিডিও বার্তায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন হিথ স্ট্রিক। সাবেক এই কোচ এবার মুকুহলানিকে শায়েস্তা করতে আইনি পদেক্ষেপ নিলেন। মুকুহলানির বিরুদ্ধে ১০ লাখ ডলারের মানহানির মামলা করেছেন সাবেক বাংলাদেশ কোচ।

স্ট্রিকের আইনজীবী নিজেদের বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘জিম্বাবুয়ে বোর্ড প্রধান ইচ্ছেকৃতভাবে স্ট্রিকের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছেন।’ 

হিথ স্ট্রিকের বিরুদ্ধে বোর্ড প্রধান অভিযোগ করে বলেন, ‘বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তিনি বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বর্ণবাদে প্রভাবিত হয়ে।’ 

মুকুহলানি সরাসরি প্রশ্ন ছুড়েন এভাবে,‘স্ট্রিক একই সঙ্গে কোচ ও নির্বাচক ছিলেন। তার সেই কর্তৃত্ব ছিল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সে যেভাবে দল পাল্টিয়েছে তা কীসের ভিত্তিতে? সাদা খেলোয়াড়রা জানতো যে পিজে মুর আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলবে। কিন্তু কৃষ্ণ কোনও খেলোয়াড় বিষয়টি জানতো না। সে কেনও পুরো দলকে জানায়নি?’

হিথ স্ট্রিকের এমন সিদ্ধান্ত বর্ণবাদকে ইঙ্গিত করে এমন প্রমাণ অবশ্য মেলেনি। তবে বোর্ড চেয়ারম্যানের পুরো দোষারোপের বিষয়টি তখনই উড়িয়ে দেন হিথ স্ট্রিক। ভিডিও বার্তায় স্ট্রিক এই অভিযোগকে বোর্ড চেয়ারম্যানের ‘শেষ থাবা’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘আমার কাছাকাছি যারা আছে সবাই জানে আমি বর্ণবাদের ছায়াতলে কখনই ছিলাম না।’

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের অনেক সিদ্ধান্তই নৈতিক নয় বলেও জানান স্ট্রিক, ‘আমাকে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান বর্ণবাদী বলেছেন। আমি মনে করি অভিযোগটি ভ্রান্ত ও হাস্যকর।’

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বাধা পার হতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ব্যর্থতার পর একাধারে হেড কোচ স্ট্রিকসহ পুরো কোচিং স্টাফকে ছাঁটাই করে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। একই সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টও নতুন করে সাজানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে জিম্বাবুয়ে।

সাহস২৪.কম/খান/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত