সাভারে অধ্যক্ষের পাঁচ খণ্ড লাশ উদ্ধার: র‍্যাব

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২১, ১৫:৪৪

সাহস ডেস্ক

সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শহীদ মিনারের সামনে দেয়ালের পাশে গর্ত করে অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণের (৩৬) মরদেহের পাঁচ টুকরা উদ্ধার করেছে র‍্যাব। দক্ষিণখানে আশকোনার একটি ডোবায় অধ্যক্ষের মরদেহের বাকি অংশের তল্লাশি অভিযান চালাবে র‍্যাব।

সোমবার (৯ আগষ্ট) বেলা একটার দিকে লাশের খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব বলছে, ২৮ দিন ধরে নিখোঁজ অধ্যক্ষ মিন্টু বর্মণকে হত্যার পর লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠে পুঁতে ফেলা হয়। দেহ থেকে মিন্টুর মাথা বিচ্ছিন্ন করে উত্তরায় একটি ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়।

র‍্যাব বলছে, স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মিন্টু বর্মণকে খুন করা হয়। পরিকল্পনা করেন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই সহপ্রতিষ্ঠাতা রবিউল ইসলাম ও মোতালেব। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন রবিউল ও তাঁর ভাগনে রহিম বাদশা। র‍্যাব তিনজনকেই আটক করেছে। তাঁরা র‍্যাবের অভিযান দলের সঙ্গে রয়েছেন।

আজ সোমবার সকালে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে এক খুদে বার্তায় সাংবাদিকদের অভিযান চালানোর তথ্য নিশ্চিত করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় মিন্টু বর্মণের লাশ উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের ভাষ্যমতে, স্কুলের শ্রেণিকক্ষেই মিন্টু বর্মণকে কুপিয়ে খুন করা হয়। লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠেই পুঁতে ফেলা হয়। এরপর বিচ্ছিন্ন মাথা ফেলা হয় দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকায়। আটক সবাই খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

মিন্টু চন্দ্র বর্মণ সাত বছর ধরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি সেখানকার আমিন মডেল টাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করতেন। দুই বছর আগে (২০১৯ সাল) মিন্টু চন্দ্র বর্মণসহ চারজন মিলে জামগড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়েন। অন্য তিন সহপ্রতিষ্ঠাতা হলেন রবিউল ইসলাম, মোতালেব ও শামসুজ্জামান। মিন্টু চন্দ্র বর্মণ ছিলেন এর অধ্যক্ষ। সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুলাই থেকে সন্ধান মিলছিল তার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত