র‍্যাগিং ও যৌন নিপীড়ন: যবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০১৯, ১৭:০৭

সাহস ডেস্ক

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) প্রথম বর্ষের ন্যূনতম ১২ জন শিক্ষার্থীকে র‍্যাগিং, যৌন নিপীড়ন ও বিকৃত যৌনচারে বাধ্য করার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দুইজনকে আজীবন, একজনকে দুই বছর এবং অপর ছয়জনকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের অপরাধের বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

যবিপ্রবির জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন। 

আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী দুইজন হলেন, পদার্থ বিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. অলি উল্লাহ ও মাহমুদুল হাসান। এছাড়া দুই বছরের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রজিবুল হক রজব, এক বছরের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মো. আব্দুল কাদের, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আল মুজাহিদ আফ্রিদি, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. রোকনুজ্জামান রোকন, অনুপ মালাকার এবং মো. শামীম বিশ্বাস। এ ঘটনায় পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে চূড়ান্তভাবে সতর্ক করা হয়েছে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আবু বক্কর সিদ্দিকী, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শতদল পাল ও ইমরান হোসেনকে।

যবিপ্রবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ জানান, ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটি ভুক্তভোগী ১২ জনসহ মোট ৪০ জন শিক্ষার্থী ও অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পান। এ ঘটনায় জড়িত ছাত্ররা তদন্ত কমিটির সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন ও অসংলগ্ন কথা বলেন। ঘটনায় জড়িত থাকার ব্যাপারে তারা কোনো অনুতাপ বা দুঃখও প্রকাশ করেনি। উল্টো র‌্যাগিংয়ের শিকার ছাত্রদের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রক্টর অফিস থেকে অভিযোগ প্রত্যাহারে বাধ্য করানো হয়। এ সংক্রান্ত ফোনকলের রেকর্ডও তদন্ত কমিটির হাতে রয়েছে।

আব্দুর রশিদ জানান, র‌্যাগিংয়ের শিকার একজন ছাত্র ঘটনার পর থেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভুক্তভোগী অন্যরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং স্বাভাবিক হতে পারছেন না। এসব কারণে তদন্ত কমিটি দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। এরই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আচরণবিধির ৩ এর এ ও বি অনুযায়ী দোষী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত