রাবিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ বাড়ছে বিদেশী শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:৫৩

রিজভী আহমেদ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক ও স্নাতকোত্তার পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। কূটনৈতিক জটিলতা নিরসন, ভর্তি প্রক্রিয়া সহজকরণ, টিউশন ফি হ্রাসসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করায় তারা আগ্রহী হচ্ছেন। এসব সুবিধার কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী হচ্ছে।

চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য ৩৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যাচাই বাছাই শেষে মনোনয়ন দেন ৩১ জনকে। এরমধ্যে স্নাতকোত্তরে ১৪ জন ও স্নাতকে ১৭ জন মনোনিত হন। এখন পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ১০ জন বিদেশী শিক্ষার্থী। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক পর্যায়ে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য মনোনিত ১৭ জনের মধ্যে ১৬ জন নেপালি ও একজন জর্ডানের শিক্ষার্থী। নেপালের ১৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স বিভাগে ১৩ জন এবং এগ্রোনমি এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সেটেনশন বিভাগ, ফার্মেসি বিভাগ ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে একজন করে ভর্তির জন্য মনোনয়ন পান। আর ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে বিভাগে জর্ডানের এক শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মনোনীত হয়। এদের মধ্যে জর্ডানের একজন ও নেপালের সাতজন শিক্ষার্থীর মধ্যে ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স বিভাগে পাঁচজন এবং ফার্মেসি ও কম্পিউটার এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। 

এছাড়া স্নাতকোত্তর পর্যায়ে মনোনিত ১৪ জনের মধ্যে দুইজন রসায়ন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। তারা দুজনই সোমালিয়ার শিক্ষার্থী।

ভর্তি প্রক্রিয়া কবে নাগাদ শেষ হবে জানতে চাইলে একাডেমিক শাখার প্রধান উপ-রেজিস্ট্রার এএইচএম আসলাম হোসেন জানান, গত ২১ জানুয়ারি থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে মনোনিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। স্নাতকের ভর্তি কার্যক্রম চলতি মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে। আর স্নাতকোত্তরের ভর্তি কার্যক্রম আগামী মাস পর্যন্ত চলবে।

নেপালের শিক্ষার্থী বিকাশ শর্মা। পড়াশোনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগে। বিকাশ শর্মা বলেন- প্রথমে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম। যে স্যাররা বাংলায় ক্লাস নেয় সে কথাগুলো আমরা বুঝতে পারতাম না। এখন কিছুটা বাংলা বুঝতে পারলেও যদি ক্লাস নোট বাংলায় দেয় তা আমাদের বুঝতে কষ্ঠ হয়।

আরেক বিদেশী শিক্ষার্থী কৃষ্ণা প্রসাদ চৌধুরী বলেন, ক্লাস অনেক আগে শুরু হলেও আমাদের দেশের কয়েকজন শিক্ষার্থী এখনও দেশেই রয়ে গেছে। তারা বাংলা বুঝতে পারে না বলেই এখন পর্যন্ত আসছেন না। তবে দুজনই এখানকার আবহাওয়া ও প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। 

গত শিক্ষাবর্ষে মোট ৩৪ জন বিদেশী শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে মোট ২৯ জনকে ভর্তির জন্য মনোনিত করা হয়। তাদের মধ্যে স্নাতকে ১০ জন ও স্নাতকোত্তরে ৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত