পঞ্চগড়ে মিথ্যা মামলা ও বাড়ি-ঘড় জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:০৩

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেড়ে মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করার পর গভীর রাতে অগ্নিসংযোগ করে ৫টি পরিবারের ১৪টি ঘর ভস্মিভুত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়ে এখন দিশেহারা ভুক্তভোগি পরিবারগুলো। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পানিমাছ এলাকায় ভুক্তভোগিরা তাদের আগুনে পোড়া বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোস্তফা কামাল। জানান, পরিকল্পিতভাবে পেট্রোল ঢেলে বাড়িটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে প্রতিপক্ষরা।

তিনি আরও জানান, একই এলাকার খাজিম উদ্দীনের ছেলে রশিদুল, জিয়াউর এবং রফিকুলদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছে তাদের। রেকর্ডীয় সম্পত্তি দখলে রেখে তারা শুরু থেকেই বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে ভুক্তভোগি পরিবারগুলোকে। মামলা-হামলাও করেছে বিভিন্ন সময়ে। পূর্ব শত্রুতার জেড়ে রাতের আধাঁরে চারটি মোটরসাইকেলে করে এসে খাজিম উদ্দীনের ছেলেরাই প্রেট্রোল দিয়ে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমাদের জমি অন্যায়ভাবে ভোগ দখল করছে রশিদুল, জিয়াউর এবং রফিকুলরা। জমি দাবি করলেই হামলা করেন তারা। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশও তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলে। তাদের পক্ষ হয়ে আমাদের উপর হামলাও করেছে। গত ১৪ জানুয়ারি (শনিবার) আমরা জমিতে গেলে রশিদুল, জিয়াউর এবং রফিকুলরা পুলিশ নিয়ে আসে। পুলিশ এসেই আমাদের উপর হামলা করে বসে। আমাদের কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে নির্বিচারে বাড়ির মহিলাদেরসহ ১৪/১৫ জনকে আটক করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। সেই মামলার গ্রেপ্তার আতঙ্কে রাতে আমরা বাড়িতে ছিলাম না। আর এই সুযোগে প্রতিপক্ষরা ঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। প্রতিপক্ষ জিয়াউরের শ্বশুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাহাদাত হোসেন। তার উস্কানিতেই এই মামলা, হামলা আর অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে দাবী ভুক্তভোগী পরিবারটির। এসময় সংবাদ সম্মেলনে জমির দ্বন্দে সব হারা পরিবারটি ক্ষতিপূরণসহ ন্যায় বিচার দাবি করে।

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) গভীর রাতে ওই এলাকার মোজাম্মেল বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মোজাম্মেল হকসহ তার আরও ৪ ভাইয়ের (আশরাফুল, মিজানুর, মোস্তফা কামাল ও আনছারুল) মোট ১৪টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ধান, চাল, নগদ অর্থ এবং জমাজমিরগুরুত্বপূর্ণ নথি,স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ৮ জনের বইসহ সার্টিফিকেটসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগিদের। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগি পরিবারের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সাহস২৪.কম/এএম.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত