সামিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৩:১৪

সাহস ডেস্ক

বিদেশে বাংলাদেশের সরকার ও রাষ্ট্রের সুনাম ও মর্যাদার হানি ঘটানোর অভিযোগে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার এডিটিং কাউন্সিলের ডিরেক্টর জেনারেল মোস্তেফা স্যোউয়াগসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালতে এ আবেদন করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক।

মামলার আসামিরা হলেন- আল জাজিরা টেলিভিশনের ডিরেক্টর জেনারেল মোস্তেফা স্যোউয়াগ, শায়ের জুলকার নাইন ওরফে সামি, নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী ডেভিড বার্গম্যান।

অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে যড়যন্ত্র করা হয়েছে। অবৈধভাবে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহের সামিল। দণ্ডবিধির ১৮৬০ সালের আইনের ১২৪, ১২৪এ, ১৪৯, ৩৪ ধারায় মামলার আবেদন দিয়েছি। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আবেদনটি আদেশের জন্য রেখেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে একই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুনামহানি করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অপপ্রচার চালিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধে লিপ্ত আছে। তারা যৌথভাবে তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের নিয়ে ভুয়া মিথ্যা তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন তৈরি করে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ নামে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী একটি প্রতিবেদন প্রচার করে এবং উক্ত প্রতিবেদন ইউটিউবেও ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। যা পরদিন বিভিন্ন মুদ্রিত ও অনলাইন পত্রিকায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে।

আসামিরা উক্ত প্রতিবেদনে কোনো সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য না দিয়ে এবং তথ্য-উপাত্ত বা দলিলাদি উপস্থাপন না করেই ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধুমাত্র কিছু ব্যক্তিগত পারিবারিক অনুষ্ঠানাদি ও সাক্ষাৎকারের ছবি ব্যবহার করে, কণ্ঠস্বর সম্পাদনা করে একটি কাল্পনিক ভুয়া, মিথ্যা ও সাজানো তথ্যচিত্রের প্রতিবেদন তৈরি করে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে আল জাজিরা টেলিভিশনসহ ইউটিউবের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে অপপ্রচার করেছে। যা দেশে বিদেশে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের সুনাম ও মর্যাদার হানি ঘটিয়েছে। এ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আসামিরা বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ১২৪/১২৪(এ)/১০৯/৩৪ ধারায় অপরাধ করেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত