প্রকৌশলীকে মারধর, এমপিপুত্র কারাগারে
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৪১
কুড়িগ্রামে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে তার অফিস কক্ষে মারধর করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক এমপি মো. জাফর আলীর কনিষ্ঠ ছেলে জাহেদুল ইসলাম সবুজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহফুজার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে জেলা শহরের নতুন রেল স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বাদী কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার স্বদেশ কুমার ঘোষ জানান, ‘জাহেদুল ইসলাম সবুজ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমে বিভিন্ন সময় নানা বাধার সৃষ্টি করে আসছিল। এতে করে সরকারের প্রতিশ্রুত প্রত্যেক পরিবারে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। সে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জুলফিকার আলীকে নানা বিষয় নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। বিষয়টি সুরাহার জন্য ওই নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজের পরিবারকে অবহিত করেন। এতে সবুজ ক্ষিপ্ত হয়ে গত মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে তার সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে সদর উপজেলার ত্রিমোহনী এলাকায় অবস্থিত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয়ে যায়। এসময় তৃতীয় তলায় অবস্থিত নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দিয়ে তাকে কিল-ঘুষি-লাথি মারে। এতে আহত নির্বাহী প্রকৌশলী অসুস্থ হলে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ওই দিন বিকালে ঘটনাটি লিখিতভাবে আমাকে জানিয়ে কুড়িগ্রাম ত্যাগ করেন।’
নির্বাহী প্রকৌশলীর এই অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে সমিতি এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্দেশক্রমে তিনি বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জনকে আসামি করে কুড়িগ্রাম সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন বলে জানান কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এই জেনারেল ম্যানেজার।
স্বদেশ কুমার ঘোষ আরও বলেন, ‘আমরা মূলত প্রত্যেক গ্রামের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কাজ করি। এতে আমরা সবার সহযোগিতা চাই।’
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহফুজার রহমান এ ব্যাপারে জানান, ‘এজাহারটি গত বুধবার (৯ জানুয়ারি) মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া এজাহারের এক নম্বর আসামি সবুজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’