সংকটে ভুগছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো

ডলার সংকটে অনেকের ব্যবসা বন্ধ-বেশি বিপাকে ছোট ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৪, ১৮:০৬

Desk Report

বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে ২০২২ সালের মার্চ থেকে ব্যাপক হারে দেশে মার্কিন ডলারের মূল্য বাড়তে শুরু করে। ২০২২ সালের ৩০ মার্চ ডলারের অফিশিয়াল দাম ছিল ৮৬.২০ টাকা।

দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে ২১টি ব্যাংক এখন রীতিমতো ডলার সংকটে ভুগছে৷ কোনো কোনো ব্যাংকে ডলার নেই৷ ডলারের পাশাপাশি টাকার সংকটেও পড়ছে ব্যাংকগুলো ৷ গত বুধবার ব্যাংকগুলোর তারল্য-চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনেই কয়েকটি ব্যাংককে ১৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকা ধার দেয়৷

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারভিত্তিক ডলার ব্যবস্থাপনা যথাযথ না হলে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথ বাড়ানো না গেলে শিগগিরই এই সংকটের সমাধান হবে না। এ ক্ষেত্রে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৮ মে ডলারের দাম ও ঋণের সুদের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের ঋণের শর্ত পালনের অংশ হিসেবে ডলারের দাম ১১০ থেকে একলাফে সাত টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করা হয়েছে।

ব্যাংকগুলো ছোট আমদানিকারকদের এলসি খুলতে রাজি হচ্ছে না৷ আবার বড় ব্যবসায়ীরাও প্রয়োজনীয় ডলার কিনতে পারছেন না৷ ফলে আমদানি করা পণ্যের দাম কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না৷

ঢাকার মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. বশির উদ্দিন বলেন, ‘‘আমরা এখন আর এলসি খুলতে পারছি না৷ মৌলভীবাজারের অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা সরসরি ভোগ্যপণ্য আমদানি করেন৷ কিন্তু তাদের আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে৷ ব্যাংক আমাদের আর ডলার দিচ্ছে না৷ ডলার সংকটের কারণে ব্যবসা এখন মনোপলি হয়ে গেছে৷ বড় বড় ব্যবসায়ী গ্রুপের হাতে চলে গেছে আমদানি ব্যবসা৷’’

তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, ‘‘ডলারের কারণে কেউ এলসি খুলতে পারছেন না এরকম কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে নেই৷ তবে এটা ব্যাংক ও তাদের গ্রাহকের সম্পর্কের বিষয় হতে পারে৷ আমরা তো বলেছি অধিকাংশ ব্যাংকের কাছে এখন বেশি হোল্ডিং আছে কমিটমেন্টের চেয়ে৷ সুতরাং সে এলসি না খুলে বসে থাকবে কেন? ব্যাংকেরও কাস্টমার রিলেশনশিপের বিষয় আছে৷ পারফরমেন্সের বিষয় আছে৷ এগুলো ব্যাংকই ভালো বলতে পারবে৷’’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত