মিয়ানমারের ঋণ স্থগিত করেছে বিশ্বব্যাংক

রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের কারণে বিশ্বব্যাংক মিয়ানমার সরকারের অর্থ সহায়তা হিসেবে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ স্থগিত করেছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি বিশ্লেষণের পর শুক্রবার ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সম্প্রতি অনুমোদিত উন্নয়ন নীতির শর্তাদি মূল্যায়ন করেছি এবং ঋণের কার্যকারিতা অর্জনের জন্য আরো অগ্রগতি প্রয়োজন বলে আমরা আশা করছি।

ঋণ স্থগিতের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অ-বৈষম্য, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং সকলের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগের মৌলিক নীতির জন্য একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে, আমরা রোহিঙ্গাদের সহিংসতা, ধ্বংস ও জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

২৫ আগস্ট সহিংসতার পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর নিধনযজ্ঞ শুরু করে দেশটির সামরিক বাহিনী। সেনাবাহিনীর হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। তাদের কাছ থেকে জানা যায় সরকারি বাহিনীর নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র। যারা পালিয়ে আসতে পারেনি তারাও রয়েছেন ভয়াবহ দুর্দশায়। রাখাইনে কোনও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাকেও প্রবেশ করতে দিচ্ছে না মিয়ানমার সরকার। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ‍উঠে আসছে সেই মানবিক বিপর্যয়ের গল্প।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘ এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক।  মিয়ানমার সরকারকে তারা পরিস্থিতি সংকট উত্তরণ এবং এবং মানবিক আর্তির প্রতি দৃষ্টি দিয়ে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওযার আহ্বান জানিয়েছে।রোহিঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করেছে। বিশ্ব আর্থিক সংস্থাটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।