শিশু আর নারী ছাড়া কারো কাছে নত হইনি: হেলাল হাফিজ

প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০১৬, ১৩:০৯

প্রেমিক প্রেমিকার কাছে তিনি প্রেমের কবি। তার লেখা কবিতা থেকে ছন্দ ধার করে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বলে ‘তোমার বুকের ওড়না আমার প্রেমের জায়নামাজ’। আর সমাজ পরিবর্তনকামী যুবকের কাছে তিনি বিপ্লবের কবি। যার কবিতা এখনো স্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে অহরহ। তিনিই বলেছেন ‘এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’। সকল খ্যাতি আর ভালোবাসা তিনি অর্জন করেছেন তার একটি মাত্র কবিতাগ্রন্থ দিয়ে। বাংলা সাহিত্য নয়। বিশ্ব সাহিত্যে এমন কবি কম রয়েছে যে তার একটি মাত্র কবিতাগ্রন্থ প্রকাশ করেই সাহিত্য জগতে স্থায়ী আসন গড়ার পাশাপাশি স্থায়ী আসন গড়তে পেরেছেন লাখো সাহিত্য প্রেমীর বুকে। বাংলা সাহিত্যের সেই ক্ষণজন্মা মেধাবী কবি হেলাল হাফিজ। মাসিক সাহস এর পাঠকদের জন্য হেলাল হাফিজের বলা না বলা কথা তুলে এনেছেন শাহাদাত রসএল 

সাহসঃ আপনার শারীরিক অসুস্থতার কথা আমরা সবাই জানি। আপাতত কেমন আছেন ?
হেলাল হাফিজ মানসিকভাবে ভালো আছি। শারীরিকভাবে হয়তো ততোটা ভালো নেই। বাম চোখের সমস্যাটা দিনদিন বাড়ছে। বলা যায় বাম চোখে খুব একটা দেখতে পাইনা। সাথে ডায়েবেটিকস সহ আরো কিছু সমস্যা রয়েছে।
 
সাহসঃ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কি চলছে ?
হেলাল হাফিজ : হ্যা তা চলছে। চোখের চিকিৎসা দেশে যতোটুকও করার তা করা হয়েছে। আর ইচ্ছে আছে ইন্ডিয়া বা সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করার। আসলে বয়স হয়েছে তো তাই এখন এইসব শারীরিক সমস্যা মেনে নিতেই হবে। এটা নিয়ে হাহুতাস করে লাভ  নেই।
 
সাহস: চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পয়সা কি আছে 
হেলাল হাফিজ : দেখো আমি আসলে আমার সাধ্যমত চিকিৎসা করছি। মাঝখানে দুই একটি পত্রিকা লিখেছে যে আমার চিকিৎসার জন্য আমি অর্থ সাহায্য চেয়েছি, এটা আসলে ভুল কারণ আমি কখনো কাউকেই বলিনি যে আমার অর্থনৈতিক সাহায্য প্রয়োজন। আমার ধারণা যারা এই নিউজগুলো করেছে তারা আমাকে খুববেশি ভালোবাসে বলেই তাদের ভালোবাসা থেকেই এই কাজটা করেছে। তবে কয়েকজন দেশের বাহির থেকে কিছু টাকা পাঠিয়েছে যা আমাকে না জানিয়েই পাঠিয়েছে। তারা আমার কবিতা ভালোবাসে বলেই হয়তো আমার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছে। কিন্তু আমি কখনোই কারো কাছে সাহায্য চাইনি। 

সাহস: কবিতা প্রসঙ্গে আসি, লেখালেখি কেমন চলছে ?
হেলাল হাফিজ: লেখালেখি আপাতত কিছুই করছিনা। কারণ চোখটা এতো সমস্যা করছে যে ঠিকভাবে পড়তে পারছিনা, লিখতে পারছিনা। যেটুকও পড়ি সেটা কেবল ডান চোখেই পড়ি। আগে ফেসবুকে কিছুটা সময় কাটাতাম আর বাকিটা সময় লাইব্রেরীতে। এখন আর আগের মতো কিছুই হচ্ছেনা
 
সাহস: ‘যে জলে আগুন জ্বলে’র পর কেটে গেছে ৩২ বছর......
হেলাল হাফিজ: হ্যা অনেক বছর। একজন কবি একটা কবিতার বই লিখে এতো বছর ধরে অবিরত এতোটা ভালোবাসা পেয়েছে এমন উদাহরণ বাংলা সাহত্য কেবল নয় বিশ্ব সাহিত্যে বিরল। আমি নিজেও অভিভূত হয়েছি ভালোবাসা দেখে। 

সাহস: তবুও আমার মনে হয় ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ মাত্র অল্প কিছু সময় পাড় করেছে। সামনে মহাকাল অপেক্ষমাণ আপনার কবিতাকে গ্রহণ করতে 
হেলাল হাফিজ: সেটা আমি জানিনা যে আমি মারা যাবার পর মহাকাল আমার কবিতাকে কোথায় রাখবে। কিন্তু আমি আমার জীবদ্দশায় তো দেখে গেলাম। আমি সতেরো আঠারো বছরের পরিশ্রম দিয়ে লিখেছিলাম ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ আমার পরিশ্রম আর সাধনার কড়ায়-গণ্ডায় প্রতিদান আমি পেয়েছি। 

সাহস: তারপর দীর্ঘ ৩২ বছরে আমরা আপনার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ পেলাম না কেনো ?
হেলাল হাফিজ: এটার পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। আলস্য আছে, ভয় আছে, অভিমান আছে 

সাহস: ভয় কিসের? পাঠক প্রিয়তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার? 
হেলাল হাফিজ: হ্যা সেটা অবশ্যই আছে। কারণ পাঠক আশা করবে পুনরায় আমি ‘যে জলে আগুন জ্বলে’র মতো আরেকটা বই লিখি, কিন্তু আমি যদি সেই আশা পূরণ করতে না পারি? এটা নিয়ে আমি শঙ্কিত ছিলাম। ওটার মতো না হোক কিন্তু কাছাকাছি তো হতে হবে। আমি হয়তো সেই রিস্কটা নিতে চাইনি বলেই আর বই করিনি। তবে এটাও সত্য যে আমি কেন করলাম না এটা নিয়েও আমি খুব একটা হিসেব করিনি  

সাহস: হ্যা এটা সত্য যে আপনার কাছে আমাদের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। প্রেমে পড়লে আমাদের আশ্রয় আপনার কবিতা আবার মিছিলে স্লোগানেও আমাদের আশ্রয় আপনার কবিতা 
হেলাল হাফিজ : এটাই আমার অনেক বড় পাওয়া। যখন আমার ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ কবিতাটা বের হয় তখন এমন কোন যুবক নেই যার বুকে এই লাইনটা আলোড়ন না তুলেছে, আর সেই সময়টাও ছিলো প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের সময়। দেয়াল লিখন পোষ্টার ব্যানার ফেস্টুন সব জায়গায় এই লাইনটা ব্যবহৃত হয়েছে। 

সাহস: আপনি তো গার্হস্থজীবন থেকে মুক্ত মানুষ। ইচ্ছে ছিল রাজা হব তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো। সাম্রাজ্য নির্মাণের স্বপ্ন কি তবে অধরাই রয়ে গেলো ?
  
হেলাল হাফিজ : হাহাহা। হ্যা আমি গার্হস্থজীবনে জড়াইনি সত্য। তবে আমার সাম্রাজ্য রয়েছে। যদিও আমার সন্যাস জীবন তবুও রয়েছে এক বিশাল সাম্রাজ্য। আমার কবিতার সাম্রাজ্য আছে, আমার প্রেমের সাম্রাজ্য। আমি আমার সাম্রাজ্যে সুখী রাজা হয়ে আছি। কোনদিন আমি নারী আর শিশুর কাছে ছাড়া কারো কাছে নত হইনি। 

সাহস: আপনি তো এখনো হোটেল কক্ষেই আপনার ঠিকানা করে রেখেছেন। কিন্তু এটা কি সংসার ত্যাগ নাকি সংসার থেকে নির্বাসন?
হেলাল হাফিজ : আসলে আমি যখন খুব ছোট তখন আমার মা মারা যায়। মায়ের মারা যাওয়াটাই আমাকে অনেকটা ঘরের মোহ থেকে মুক্তি দিয়েছিলো। আমাকে ঘরের প্রতি উদাসীন করে তুলে ছিলো।

সাহস: এই সময়ে এসে কোন অপ্রাপ্তি আছে কি? যা আপনাকে খুব বেশি বেদনার্ত করে ফেলে 
হেলাল হাফিজ : না তেমন কোন বড় অপ্রাপ্তি নেই। তবে মাঝে মাঝে ভাবি আমার যদি অন্য লেখকদের মতো পনেরো বা বিশটা বই থাকতো, কবিতা গল্প উপন্যাস মিলিয়ে তবে হয়তো আরেকটু স্বচ্ছলভাবে জীবন ধারণ করতে পারতাম। আমার সবেধন নীলমণি একটা মাত্র বই। 

সাহস: কিন্তু অনেকেই শতাধিক বই লিখেও বাংলা ভাষার সাহিত্যকে অতটা সমৃদ্ধ করতে পারেনি আপনি আপনার একটা বই দিয়ে যা দিয়েছেন। সে হিসেবে আপনার লেখা সংখ্যা দিয়ে বিচারের অবকাশ থাকেনা। 
হেলাল হাফিজ : হ্যা সেটা হয়তো ঠিক। কিন্তু এখন আমার অর্থনৈতিক চাহিদা তো পূরণ হচ্ছে না। অন্যদিকে খ্যাতির একটা বিড়ম্বনাও আছে এখন কিছুই লিখতে পারিনা কারণ পাঠক নতুন লেখা আগের মতো গ্রহণ করবে কিনা এই ভাবনাটাই একরকম আমাকে আর লিখতে দিলো না। তবে আমার এখন আর আক্ষেপ নেই। কারণ তুমি দেখো জীবনানন্দ দাশ, আমার মতে বাংলা সাহিত্যের এক নাম্বার বা প্রধান কবি জীবনানন্দ দাশ। অনেকে হয়তো দ্বিমত হবে কিন্তু তুমি ভেবে দেখো রবীন্দ্রনাথ কিন্তু তার গল্প উপন্যাস প্রবন্ধ গান কবিতা ছড়া ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে রবীন্দ্রনাথ। আর জীবনানন্দ দাশ কেবল কবিতা দিয়েই জীবনানন্দ দাশ। কিন্তু এমন একজন অসামান্য কবি কিন্তু বেঁচে থাকতে তার কবি পরিচিতি দেখে যেতে পারেননি, তিনি নিজে তার কবিতার জনপ্রিয়তা দেখে যেতে পারেননি। কিন্তু আমি কিন্তু দেখে গেলাম।

সাহস: জীবনানন্দ দাশের ভেতরে একটা আত্ম পীড়নের প্রবণতা ছিলো বোধহয় 
হেলাল হাফিজ : আত্ম পীড়ন বলা যেতে পাড়ে, তবে আমি বলবো তিনি খুব লাজুক একজন মানুষ ছিলেন। উনি তো সারাজীবন কেবলই অবহেলা পেয়েছে, খুব দু:খের জীবন ছিলো তার। তার পারিবারিক জীবনটাও ছিলো খুবই পেইনফুল। কারণ তার স্ত্রী ছিলো অপুর্ব সুন্দরী একজন নারী। অন্যদিকে জীবনানন্দ দাশ ছিলো ঠিক উল্টো বেঁটে, বেখেয়ালি, দেখতেও সুন্দর নয়, তার উপরে জীবনানন্দ দাশ চাকুরী করতে পারতেন না, যেখানেই চাকুরী করতে যেতেন সেখানেই দুই তিন মাসের মধ্যেই চাকুরী চলে যেতো। তাই তার স্ত্রী কবিকে খুব তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো যা কবিকে আত্মকেন্দ্রিক করে তুলেছিলো। খেয়াল করলে দেখবে জীবনানন্দের সব কবিতায় এই যে একাকীত্ববোধ কিংবা আত্মকেন্দ্রিক লাজুকতা স্পষ্ট।

সাহস: কবিতা হচ্ছে কবির জীবনবোধের আয়না। জীবনানন্দ দাশের কবিতায় প্রভাব ফেলেছে তাঁর যাপিত জীবন। আপনার ইতিহাস সৃষ্টিকারী সেই  যে জলে আগুন জ্বলে’ বইয়ের কবিতাগুলোর সেইসব আলোকিত শব্দ চয়ন আবার একই সাথে বিষয়ের বিচিত্র এটা কিভাবে এসেছে বলে মনে করেন। 
হেলাল হাফিজ : আমার কবিতার বেশীরভাগ শব্দগুলো উঠে এসেছে আমাদের যাপিত জীবনের ব্যবহৃত কথামালা থেকে। সেখানে আমি শব্দ আরোপ করিনি। তুমি দেখবে আমার কবিতাগুলো পাঠ করলে তোমার মনে হবে কথাগুলো তোমারও। কিন্তু এখন তো কিছু নাটকে এফএম রেডিওতে ভাষা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছে। বাংলা ইংলিশের এই মিশেল এক্সপেরিমেন্টটা সাময়িকভাবে আকর্ষণীয় মনে হলেও এটার মন্দ প্রভাবটা পড়বে সুদূরপ্রসারী। 

সাহস: আপনার ব্যক্তিজীবনের চেনামুখ কি কেউ আছে যে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে আপনার কবিতায়। মানে যে কবিতাটা কেবল তারই সাক্ষ্য দেয় 
হেলাল হাফিজ : হ্যা অনেকেই আমার কবিতায় তাদের ছায়া রেখে গেছে। অথবা তুমি বলতে পারো যে আমিই তাদেরকে আমার কবিতায় বন্দী করে রেখেছি। যেমন আমার ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বইটা পড়লে তুমি দেখবে সেখানে অনেক কবিতায় সবিতা মিশ্রের নামে কবিতা আছে, কিংবা কবিতায় সবিতা মিশ্রের কথা এসেছে। ক্ষনা আর শিলা নামে আমার দুজন মেয়ে বন্ধু ছিলো ছেলেবেলায়। মানে যখন আমি মাত্র স্কুলে যেতে শুরু করি। সবিতা মিশ্র ছিলেন আমার মেয়ে বন্ধু শিলা আর ক্ষনার বড়বোন। সবিতা দিদি আমার চেয়ে অনেক বড় ছিলেন। আমরা যে পাড়ায় থাকতাম ওরাও সে পাড়ায় থাকতো। এভাবে অনেকেই এসেছে। 

সাহস: বড়বেলায় বন্ধুত্বটা আপনার কাছে কীভাবে এসেছে?  
হেলাল হাফিজ : আমার বন্ধু ভাগ্য সুপ্রসন্ন। আমার জীবনে অনেক বন্ধু এসেছে। তবে নির্মলেন্দু গুণ, আবুল হাসান আমি আমরা তিনজনেই ছিলাম সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু। যদিও ওরা দুজনেই ছিলো আমার চেয়ে বয়সে বড়। গুণ’দা ছিলো তিন বছরের বড়, হাসান ছিলো দুই বছরের বড়। কিন্তু আমরা বন্ধুর মতোই জীবনযাপন করেছি। আর তখন ওদের তো থাকার জায়গা ছিলোনা, আমি তো হলে থাকতাম। ফলে অধিকাংশ সময়ে ওরা আমার ওখানে থাকতো, আড্ডা হতো। তখন আমার রুমে আমি আর আরেকজন রুমমেট থাকতাম। দেখা যেতো আমরা যখন রুমে ঢুকতাম তখন সেই ভদ্রলোক অন্য রুমে চলে যেতো। আর আমরা তিনজনে রুমে থাকতাম।
 
সাহস: আপনাদের তিনজনের সেইসব দিনগুলোর কোন বিষয়টা এখনো ভাবতে ভালো লাগে  
হেলাল হাফিজ: তখন আমাদের সমসাময়িক যাদেরকে কাছে থেকে দেখেছি সবাই খুব কষ্ট করেছে। অভাবে কেটেছে। কিন্তু সবাই মাথা উঁচু করে চলতো। সবার কষ্টের একটাই কারণ ছিলো সেটা কবিতা। কবিতার জন্যই ছিলো সবার জীবন। শুধু কবিতা ছাড়া অর্থ উপর্যন গাড়ি বাড়ি ক্যারিয়ার কিছুরই ভাবনা ছিলো না, কেবল কবিতাই ছিলো, একমাত্র কবিতাই আরাধ্য ছিলো। কবিতার প্রতি তখনকার এই উন্মাদনাটা ভাবতে ভালো লাগে। 

সাহস: এই সময়ে দাঁড়িয়ে আপনার কাছে জীবনের আনন্দ কীসে ? 
হেলাল হাফিজ : আমি আমার হোটেল রুম থেকে বের হয়ে দুপুরে খাবার জন্য প্রেসক্লাবে চলে আসি। ব্যপারটা এমন যে আমি খাবার জন্য আমার ঘরে আসলাম। প্রেসক্লাবটাই এখন আমার কাছে নিজের ঘরের মতো মনে হয়। দুপুরে খেতে আসি তারপর রাতে খেয়ে তারপর আবার হোটেল রুমে ফিরে যাই। মানুষজন আসে কথা হয় আড্ডা হয়, লাইব্রেরীতে বসে পড়াশোনা করি, বেশ লাগে। এখন এই জীবনটাই আমাকে আনন্দ দেয়।
 
সাহস: সাহস পত্রিকার পক্ষ থেকে আপনার সুস্বাস্থ আর দীর্ঘ আনন্দময় জীবনের শুভকামনা রইলো 
হেলাল হাফিজ : তোমাদের জন্যও শুভকামনা থাকলো। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত