তেঁতুলতলা মাঠ ফেরত চায় শিশুরা

প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২২, ২১:০১

চিত্রাংকন: মিতা মেহেদী

একটা শর্ট পিচ ক্রিসের সমান তেঁতুলতলা মাঠ। স্থানীয় বাসাবাড়ির কমলমতি শিশুদের খেলাধুলার একমাত্র স্থান। ছোট ছোট শিশুদের দৌড়া দৌড়ি, ছোঁয়াছুঁয়ি, লুকোচুরি থেকে শুরু করে চলে একটু বড়ো শিশুদের ক্রিকেট, ফুটবল। এছাড়াও শীতকালীন সময়ে তরুণেরাও ব্যাডমিন্টন খেলায় মাতেন এই মাঠকে ঘিরে।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কলাবাগানস্ত তেঁতুলতলা মাঠের আসে পাশে অবস্থানরত এলাকাবাসীরা এমনই তথ্য জানান দৈনিক সাহসকে।

কলাবাগান থানার তথ্য মতে, গত ৩১ জানুয়ারি কলাবাগান থানার জন্য স্থাপনা নির্মাণে তেঁতুলতলা খেলার মাঠের জমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) হস্তান্তর করে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। সে অনুযায়ী, মাঠে নির্মাণকাজ শুরু করে পুলিশ কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি মাঠ দখলকরে ভবন নির্মাণের প্রতিবাদও করেন পান্থপথস্ত এলাকাবাসী।

রবিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে খেলার মাঠে ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ স্বরুপ ভিডিও করছিলেন সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে পিয়াংসু। পরে ‘স্থানীয় লোকজন ও শিশুদের এনে কাজে বাধা দেওয়ার’ অভিযোগে আন্দোলনরত মা ও ছেলেকে আটক করে কলাবাগান থানা পুলিশ। পুলিশের নিউমার্কেট জোন সূত্রে জানা যায়, ‘কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ায় ২ জনকে তুলে আনা হয়েছে।’

‘আমাদের মাঠ আমরা ফেরত চাই’
এই মাঠেই খেলেধুলা করেন নিউ মডেল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া নাজমুল হুদা নাঈম। প্রতিবেদনটি করার সময় মাঠের মধ্যেই অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে দৌড়ঝাপ করছিলো নাঈম। তার থেকে জানা যায়, ১৭ থেকে কম বয়েসী বাচ্চারা এই মাঠে খেলাধুলা করে। এ পাড়ায় খেলার উপযোগী আর কোনো মাঠ নেই। তার ভাষ্যমতে, বিকেল হলে ৪০-৫০ জন বাচ্চারা খেলতে আসে এখানে। নাঈম বলেন, ‘জেলখানা (থানা ভবন) বানাবে বলে আমাদের মাঠে বিল্ডিং (ভবন) করছে পুলিশ। আমাদের মাঠ আমরা ফেরত চাই।’

স্থানীয়দের বক্তব্যে তারাও জানান, এলাকার মাঠে থানা নির্মাণের বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নেওয়ার কারণে সৈয়দা রত্না ও পিয়াংসুকে আটক করেছিল পুলিশ। শিশুদের খেলার মাঠে কোনো ভবন চান না এলাকার কেউ। বাচ্চাদের খেলার উপযোগী এই মাঠে ভবণ নির্মাণ হলে বিনোদনের অভাব দেখা দিবে অত্র এলাকায়। এমন অবস্থায় পড়তে চান না বলে প্রত্যেকেই মাঠ রক্ষার পক্ষে আছেন বলে জানান স্থানীয় সকলে।

শিশুদের খেলার মাঠে পুলিশ কেন?
সোমবার (২৫ এপ্রিল) সরেজমিনে কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে গেলে দেখা যায়, মাঠের সামনের অল্প কিছু অংশে স্তুপ করে মুড়ে রাখা তারাকাটার বেষ্টনী। তার সঙ্গেই ফালি করে কাটা গাছের কাঠ আর বালুকে কেন্দ্র করে দৌড়ঝাপ করছে স্থানীয় শিশুরা। এই মাঠেই খেলতো তারা। কলাবাগান থানার ভবন নির্মাণের জন্য নিজেদের মাঠে খেলতে পারছেনা শিশুরা। এছাড়াও, রাস্তার মোড় থেকেই লাইন ধরে রাখা তিনটি পুলিশের গাড়ি। একটু এগোতেই চোখ পড়ে মাঠে। মাঠের ভেতরের দিকে সারিবদ্ধ চেয়ারে বসে আছেন অগুণিত পুলিশ সদস্যরা। তার সঙ্গে বেশ ভালো উপস্থিতি দেখা যায় নারী পুলিশ সদস্যদের। জানা যায়, মাঠে নির্মাণকাজ চলাকালীন কেউ যাতে বাঁধা বা সমস্যা তৈরি না করতে পারে সে জন্যই পাহাড়ারত অবস্থায় আছেন পুলিশ সদস্যরা।

সৈয়দা রত্নার স্বজনেরা-
আটক হওয়া তেতুলতলা মাঠরক্ষা আন্দোলন কর্মী সৈয়দা রত্নার মামা এস এম শহিদুল্লাহ সুজা। ‘সেভেন্টি ওয়ান (১৯৭১) এ আমি খেলতাম এখানে’, বলে দৈনিক সাহসের প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা শুরু করেন তিনি। তিনি বলেন, “একটা পনেরো বছরের ছেলের কি অপরাধ- পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে! কীভাবে লকাপে ঢুকালো! পুলিশের কি এতটুকু বিবেক হয় নাই!” তিনি জানান, “আরএস খতিয়ান ১১১৩১১১৪ এখানে স্পষ্ট লেখা আছে মালিক নাজমা জং জাকারিয়া। রাষ্ট্রপতির ১৬/৭২নং আদেশ মোতাবেক পরিত্যক্ত সম্পত্তি। এটা নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। এর মালিকানাই বা কীভাবে হয়!” “এটা বাচ্চাদের খেলার মাঠ। মাঠে একটা ঘর বানানো আছে; কেউ মারা গেলে তার লাশ এখানে গোসল করানো হয়। গাছ গুলা ২৫ থেকে ৩০ বছর আগের লাগানো। সব এলাকাবাসীর হাতে লাগানো।” “এখন যেহেতু জনগণ মিডিয়া সবার চোখে গেছে। পুলিশকে সরে যাওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণাও দিয়েছেন। আমরাও মাঠ চাই। এলাকাবাসী মাঠ চায়।”

সাবেক মিরপুর থানা ছাত্রলীগ নেতা ও সৈয়দা রন্তার আত্মীয় মাহবুবুল আলম বলেন, “রবিবার (২৪ এপ্রিল) পুলিশ এসে মাঠে কাজ করতেছে। ও (রত্না) রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলো। সে লাইভে আসছিলো। তারপর পুলিশ জোড় করে রত্না আর তার ছেলে পিয়াংসুকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।” মাঠে ভবন নির্মাণের দালিলিক কোনো কিছু পুলিশ এলাকাবাসীকে দেখিয়েছে কি না সে প্রশ্নের জবাবে মাহবুবুল বলেন, “এমন কোনো কাগজপত্র আমাদেরকে দেখায়নি। আমাদেরকে শুধু বলেছে ২৮ কোটি টাকা দিয়ে এই মাঠ কিনেছে পুলিশ।”

স্থানীয়দের প্রতিবাদ সমাবেশে ৫ দফা দাবি-
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তেঁতুলতলা মাঠে নাগরিক প্রতিবাদ সমাবেশে এলাকাবাসীর পক্ষে ৫ দফা দাবি তুলেন স্থপতি ইকবাল হাবীব। দাবিগুলো হলো-

১. স্থানীয়রাই দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও রাজউককে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এই মাঠ তারা কেমন করে ব্যবস্থাপনা করবে।

২. বিকল্প জায়গায় থানা করতে হবে। এই জায়গায় থানা হবে না।

৩. এই মাঠটাতে আবারও আগের মতো ঈদের জামাত করার জন্য প্রস্তুত করতে হবে।

৪. বেআইনিভাবে রত্মা ও তার ছেলেকে আটক রাখার নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। যাতে সরকারি কাজের নামে নগরিকদের অধিকারের ওপর আর কেউ হস্তক্ষেপ করতে না পারে।

৫. এলাকাবাসীকে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখানো যাবে না।

নাগরিক ক্ষোভ-
রাজধানীর কলাবাগানে তেঁতুলতলা মাঠ সংরক্ষণ করাসহ মাঠ রক্ষার আন্দোলনকর্মী সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে ঈসা আব্দুল্লাহকে পুলিশি হয়রানির নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন মহলের সচেতন নাগরিকেরা। তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে জাসদ, ন্যাপসহ বিভিন্ন ছাত্র-যুব ও রাজনৈতিক সংগঠন। এছাড়াও শিশুদের অধিকার খেলার মাঠ দখলদারিত্বের পায়তারার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দৈনিক সাহসের নির্বাহী সম্পাদক সাকিল আহমেদ। উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, এএলআরডি, বেলা, আসক, ব্লাস্ট, নাগরিক উদ্যোগসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন যৌথভাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত এক বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা)। এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ট্রাস্টি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র; সুলতানা কামাল, মানবাধিকার কর্মী ও সভাপতি বাপা; ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, অর্থনীতিবিদ ও নির্বাহী সভাপতি পিপিআরসি; ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক গর্ভনর, বাংলাদেশ ব্যাংক; ড. হামিদা হোসেন, মানবাধিকার কর্মী; খুশী কবির, সমন্বয়কারী, নিজেরা করি; শাহীন আনাম, নির্বাহী পরিচালক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন; মেঘনা গুহঠাকুরতা, গবেষক; ড. ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ; রাশেদা কে. চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক, গণস্বাক্ষরতা অভিযান; শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এএলআরডি; শিরিন হক, সদস্য, নারীপক্ষ; অধ্যাপক পারভীন হাসান, উপাচার্য, সেন্ট্রাল উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয়; ড. ইমরান রহমান, প্রাক্তন উপাচার্য, ইউল্যাব; শাহদীন মালিক, আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ; সারা হোসেন, অনারারী ডিরেক্টর, ব্লাস্ট; প্রফেসর আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; গীতিয়ারা নাসরীন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; এম এম আকাশ, অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ফেরদৌস আজিম, অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়; ড. সামিনা লুৎফা, সহযোগী অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. স্বপন আদনান, প্রফেসারিয়াল গবেষণা সহযোগী, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়; জাকির হোসেন, প্রধান নির্বাহী, নাগরিক উদ্যোগ; রেজাউল করিম চৌধুরী, নির্বাহী, কোস্ট; মো. নূর খান লিটন, মানবাধিকার কর্মী; তাসাফি হোসেন, প্রতিষ্ঠাতা, বহ্নিশিখা; ড. নায়লা জেড খান, পরিচালক, ক্লিনিক্যাল নিউরোসাইন্স সেন্টার, বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন; ড. শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী; রেহনুমা আহমেদ, লেখক; অরূপ রাহী, সঙ্গীতশিল্পী, লেখক; নবনীতা চৌধুরী, উন্নয়নকর্মী, গায়ক; মাহমুদ রহমান, আলোকচিত্রী, ম্যাপ-ফটো; ড. সায়দিয়া গুলরুখ, সাংবাদিক; সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও প্রধান নির্বাহী, বেলা।

একই দিন ডিআরইউ এর এক সংবাদ সম্মেলনে খুশী কবির বলেন, “আমাদের স্পষ্ট দাবি হচ্ছে, তেঁতুলতলা মাঠটি উন্মুক্ত স্থান ও মাঠ হিসেবে রাখতে হবে। মাঠে থানা স্থাপনের চলমান সব কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।”

এছাড়াও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক, সামাজিক ও নাগরিক সংগঠন ও ব্যক্তিরা তীব্র নিন্দা ও জোড় প্রতিবাদ জানিয়েছেন এ বিষয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চলছে নেটিজানদের ক্ষোভ প্রকাশ। দফায় দফায় সৈয়দা রত্না ও ছেলে পিয়াংসুর ছবি ফেসবুক ইন্সটাগ্রামে পোস্ট দিয়ে জানান দিচ্ছেন নিজেদের অবস্থান।

আন্দোলনের মুখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস
সোমবার দুপুরে তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “আমাকে সন্ধ্যার পরে অনেকেই ফোন করেছিল। আমি ঘটনার যতটুকু জেনেছি এটুকু হচ্ছে তারা লাইভ ভিডিওতে এসে অনেক কিছু প্রচার করছিল। সেগুলো নাকি একটু অসঙ্গতিপূর্ণ। সেজন্য বারবার নিবৃত করার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন থামাতে পারেনি, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।”

মাঠের ব্যপারে আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমাদের মেয়র বলেছেন, (থানা ভবন নির্মাণ) এই জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে দিতে। আমরা মনে করি খেলার মাঠে বাচ্চারা খেলাধুলা করবে এটাই স্বাভাবিক এবং খেলার মাঠ যেন থাকে সেজন্য আমরা মনে করি খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে হবে। মেয়রকে বলেছি, সবাইকে বলেছি বিকল্প একটা খোঁজার জন্য। এটা আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো কী করা যায়।”

এক নজরে তেঁতুলতলা মাঠ সংকট
ঢাদসিকের ১৭নং ওয়ার্ড, পান্থপথের উল্টো দিকের গলির পাশের খোলা জায়গাটিই তেঁতুলতলা মাঠ। স্থানীয় শিশুরা খেলাধুলা করে সেখানে। মাঠটিতে খেলাধুলা ছাড়াও চলে ঈদের নামাজ, জানাজাসহ বিভিন্ন সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান। জানা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে খেলতে যাওয়া কয়েকজন শিশুকে কান ধরায় পুলিশ। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রত্যাহার করা হয় তিন পুলিশ সদস্যকে। সম্প্রতি কাঁটাতারের বেষ্টনি দিয়ে জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করেছে কলাবাগান থানা। টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘ভবণ নির্মাণ’র সাইনবোর্ড। এরপরই তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষায় ধারাবাহিকভাবে মানববন্ধনসহ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আয়োজন করে চলেছে এলাকাবাসী।

সাহস২৪.কম/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত