ম্যানসিটিকে বিদায় দিয়ে সেমিফাইনালে লিঁও

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২০, ১৩:৩১

সাহস ডেস্ক

২০১৫/১৬ মৌসুমের পর আবারও সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ করে দিবায় নিয়েছে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে মৌসা দেম্বেলের জোড়া গোলে ম্যানসিটিকে হারিয়ে টানা ১০ বছর পর সেমিফাইনালে উঠল ফ্রান্সের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব লিঁও।

শনিবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে পর্তুগালের লিসবনে এক লেগের কোয়ার্টার ফাইনালে লিঁওর বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে খেললেও প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়ে সিটি। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে লিঁওকে এগিয়ে দেন ম্যাক্সওয়েল কর্নেট। গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগেও সিটিজেনদের জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন এই আইভরি কোস্ট মিডফিল্ডার। সিটির বিপক্ষে চারবারের সাক্ষাতে এটি তার তৃতীয় গোল।

এরপর ৪০ মিনিট পর্যন্ত খুব ভালো সুযোগও সৃষ্টি করতে পারেনি পেপ গার্দিওলার দল। ম্যাচের ৪২তম মিনিটে স্টারলিংয়ের সুবাদে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন রদ্রি। কিন্তু তাঁর দুর্বল শট ঠেকাতে কষ্ট হয়নি লিওঁ গোলরক্ষক লোপেসের। যোগ করা সময়ে দারুণ এক সুযোগ নিজেই হাতছাড়া করেছেন স্টারলিং। ডি ব্রুইনার পাস তাঁকে ফাঁকায় খুঁজে নিয়েছিল গোলবার থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরে। কিন্তু শট নিতে একটু দেরি করায় গোলরক্ষক লোপেস এসে পড়েন সামনে, কর্নারের মাধ্যমে বেঁচে যায় লিওঁ। পরে এক গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সিটিজেনরা।

বিরতি থেকে ফিরে এসে ১০ মিনিটে ফরমেশন বদলান গার্দিওলা। ফার্নান্দিনহোকে তুলে নিয়ে মাহরেজকে নামান। ফলে চার জনের রক্ষণে ফেরে সিটি। আর মাহরেজকে পেয়ে আক্রমণেও ধার বাড়ে ডি ব্রুইনাদের। তবু লিওঁর পাঁচজনের রক্ষণ ভাঙা হচ্ছিল না তাঁদের। বিশেষ কিছু একটার দরকার পড়ছিল এ রক্ষণ ভাঙার জন্য।

ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে লিঁওর ডি বক্সের ভেতরে মাহরেজ পাস দেন স্টারলিংকে। লিওঁ রক্ষণকে ব্যস্ত রেখে স্টারলিং বক্সের মাথায় পাস দেন ডি ব্রুইনাকে। আর দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ব্রুইনা সেটা জালে পাঠিয়ে সমতা ফেরান ম্যাচে।

গোল পেয়ে আরও মরিয়া হয়ে আক্রমণে নামে সিটি। কিন্তু গ্যাব্রিয়েল জেসুসের বাজে শট দুটি ভালো সুযোগ নষ্ট করে দেয়। ৭৭ মিনিটে যে সুযোগ মিস করেছেন জেসুস, তাঁর ওপর রাগ করতেই পারেন স্টারলিং, একটি এসিস্ট নামের পাশে যোগ হলো না বলে। দুই মিনিট পরেই সে ভুলের খেসারত দেয় সিটি।

ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়ে যান লিঁওর ফরাসি ফরোয়ার্ড দেম্বেলে। গোলরক্ষক এডারসনকে ফাঁকি দিয়ে তিনি বল জড়িয়ে দেন সিটির জালে। অবশ্য রেফারি গোলটি দেন ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সাহায্য নিয়ে।

পরে ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে অবশ্য জেসুসের চেয়েও বড় ভুল করলেন স্টারলিং। খালি গোলপোস্ট পেয়েও বল কীভাবে যেন বাইরে মেরেছেন। এর ৪০ সেকেন্ডের মাথায় আবার খেসারত দিয়ে সিটি। সেই অওরের এক শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন এডেরসন। সে বল গিয়ে পড়ে ডেমবেলের সামনে। ব্যবধান বাড়াতে একদম ভুল করেননি এই স্ট্রাইকার। অবশেষে ৩-১ গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পেপ গার্দিওলার দল ম্যানচেস্টার সিটি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত