বিশ্বকাপ-এশিয়া কাপ গোল্লায় যাক, আইপিএলের ক্ষতি না হয়

প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২০, ১৩:০৯

সাহস ডেস্ক

চলতি বছরেই এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পিছিয়ে যাওয়া এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের ফাঁকা সময়টা পেয়ে আইপিএল আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

ভারতের করোনা পরিস্থিতি আইপিএল আয়োজন উপযোগী নয়, তাই সংযুক্ত আরব আমিরাতে হবে এবারের আইপিএল। ভারতীয় বোর্ডের এই ঘোষণা আসে বিশ্বকাপ স্থগিত হওয়ার ঘোষণার পর পরই। যেন আইসিসির ঘোষণার অপেক্ষায় ছিল বিসিসিআই।

তবে আইপিএল মাঠে নামানোর জন্যই নাকি বছরের সবচেয়ে বড় দুই বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট বিসর্জন দিতে হয়েছে। বিষয়টা নিয়ে পাকিস্তানের জিও ক্রিকেট চ্যানেলকে দেওয়া স্বাক্ষাৎকারে সাবেক পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে পারত। কিন্তু আমি আগেই বলেছি তারা এটা হতে দেবে না। বিশ্বকাপ গোল্লায় যাক, আইপিএলের ক্ষতি হওয়া চলবে না। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, এশিয়া কাপ কিছুতেই হতো না, আপনারা শুধু হাওয়ায় ভরসা করেছেন, যাদের হাতে ক্ষমতা আছে, তারা এটা হতে দিত না।’

সোয়েব বলেন, ‘শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নয়, এবারের এশিয়া কাপও বাতিল করা হয়েছে। তবে অবশ্যই এশিয়া কাপ হতে পারত। ভারত এবং পাকিস্তানের জন্য একে অপরের মুখোমুখি হওয়ার দারুণ একটি সুযোগ ছিল। এর পেছনে অনেক কারণ আছে। আমি সেদিকে যাচ্ছি না।’

আইপিএলের জন্য নিজেদের ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ার পরও অস্ট্রেলিয়ার 'মুখবন্ধ' নীতিতে অবাক হয়েছে শোয়েব।ভারত সম্পর্কিত কিছু হলেই অস্ট্রেলিয়ার এমন নরম স্বভাব নাকি শোয়েব আগেও দেখেছেন জানিয়ে সোয়েব বলেন, ‘মাঝে মাঝে ওরা (ভারত) মেলবোর্নে সহজ উইকেট পায়। (২০০৮ সালে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসকে হরভজন সিংয়ের বানর ডাকার সেই মাঙ্কিগেট কলঙ্ক ইঙিত করে) কেউ একজনকে বানর ডেকেও পার পেয়ে যায়। আমি অস্ট্রেলীয়দের বলছি, তোমাদের নীতি কোথায়? আপনারা নিজেদের ছেলেদের বল ঘষার জন্য কাঁদাতে পারেন, কিন্তু একজন বানর বলেও পার পেয়ে যায়।’

করোনার ঝুঁকির কারণে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি এক বছর পিছিয়ে গেছে। বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টি হওয়ার কথা ছিল অক্টোবরে। বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিস্থিতি না থাকায় সেটিও পিছিয়ে গেছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। মাঝে ২০২১ সালে অবশ্য ভারতে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত