নেইমারকে ছাড়াই পিএসজিকে জেতাল এমবাপ্পে-ইকার্দিরা

লিগ ওয়ানে ঘরের মাঠে কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে দিজোঁকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে শীর্ষস্থানটা আরো মজবুত করল নেইমার বিহীন স্বাগতিক প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)।

২৯ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) পার্ক দেস প্রিন্সেসে দিজোঁকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে পিএসজি।

তবে বোর্দোর বিপক্ষে লিগের আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় এদিন খেলতে পারেননি দলের সেরা তারকা নেইমার। তবে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের অভাব বুঝতেই দেননি এমবাপ্পে-ইকার্দিরা। এমবাপ্পের জোড়া গোলের দিনে একটি করে গোল করেন পাবলো সারাবিয়া ও মাউরো ইকার্দি।

ইকার্দি যাঁর বদলি নেমেছেন ম্যাচের ২০ মিনিট বাকি থাকার সময়, সেই এডিনসন কাভানি আর এমবাপ্পে নিজেই কিছু সহজ সুযোগ হাতছাড়া না করলে ম্যাচটা ৬-৭ গোলেও জিততে পারত পিএসজি। ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে এমবাপ্পের দারুণ ক্রসটা শুধু পোস্টে রাখাই কাভানির কাজ ছিল, কিন্তু পাঁচ গজ দূর থেকে উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার উড়িয়ে মেরেছেন বাইরে। এর দুমিনিট পর গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি এমবাপ্পে।

এদিন নেইমার না থাকায় এমবাপ্পের পাশে কাভানি, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া ও পাবলো সারাবিয়াকে দিয়ে আক্রমণভাগ সাজিয়েছেন পিএসজি কোচ টমাস টুখেল। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই সারাবিয়ার গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। পিএসজি ডিফেন্ডার মারকিনিওসের শটটা মোটেও ঠিকঠাক ছিল না, কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট সে শটের পর বক্সে বলটা লুফে নিয়ে সেটিকে জালে জড়িয়ে দেন সারাবিয়া।

পরে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়া ডি মারিয়া ম্যাচের ১৭তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন, তাঁর বদলে নামেন ইউলিয়ান ড্রাক্সলার। এরপর বাকি সময় আর কোনো গোল না হয়ে এই ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পিএসজি।

বিরতি থেকে ফিরে এসে ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে ইউলিয়ান ড্রাক্সলারের পাস থেকে ব্যবধান বাড়ান এমবাপ্পে। দুই মিনিট পর এমবাপ্পের সহায়তাই ব্যবধান ৩-০ করেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার ইকার্দি।

পরে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ৯০+১তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এমবাপ্পে। ড্রাক্সলারের শট দিজঁর এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফেরে এমবাপ্পের সামনে! এমন সুযোগ আর হাতছাড়া করলেন না ফরাসি স্ট্রাইকার।

এই জয়ে ২৭ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল পিএসজি। সমান ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়তে আছে মার্সেই। সমান ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়তে আছে রেনেস।