মেসিই আমাকে সেরা কোচ বানিয়েছে: মরিনহো

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:১৭

কোচ হোসে মরিনহো বলেছেন, ‘মেসি কখনো আমার অধীনে খেলেনি। বিপক্ষ দলে খেলেছে। ওকে আটকানোর পরিকল্পনা করতে গিয়ে আমি নিজে আরও ভালো কোচ হয়েছি। কোচ হিসেবে আরও উন্নত হয়েছি মেসিকে নিয়ে মাথা ঘামানোর জন্যই।’

রিয়াল মাদ্রিদের কোচ থাকাকালীন নিয়মিতই মেসিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেতেন মরিনহো। অন্য ক্লাবের হয়েও চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। মেসির জন্য তার কোচিং ক্যারিয়ার কতটা সমৃদ্ধ হয়েছে তা নিয়েই ‘ইএফই’কে একথা বলেন মরিনহো।

মরিনহো বলেন, ‘আমি সব সময় বলি সেসব খেলোয়াড়দের প্রতি কৃতজ্ঞ যারা আমার অধীনে খেলেছে। যারা আমার বিপক্ষে খেলেছে ও আমার কপালে ভাঁজ ফেলেছে, কৃতজ্ঞ তাদের প্রতিও।’

তিনি বলেন, ‘মেসির মতো আরও ভালো খেলোয়াড় যারা আছে, যারা আমার বিপক্ষ দলে খেলেছে, এ কথা তাদের জন্যও প্রযোজ্য।’

রিয়াল মাদ্রিদের কোচ থাকতে নিয়মিতই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার মুখোমুখি হতে হয়েছে মরিনহোকে। পেপ গার্দিওলার অধীনে তখন বার্সেলোনার স্বর্ণযুগ। মেসি, জাভি, ইনিয়েস্তা, পুয়োল, পিকে, বুসকেটস, ইতো, ভিয়া, পেদ্রোদের বার্সাকে আটকানো ছিল প্রায় অসম্ভব। কাতালান ক্লাবটির এ আধিপত্য নষ্টের দায়িত্ব পড়েছিল মরিনহোর ওপর। সে কাজে মরিনহো সফল ছিলেন কি না, তা বিবেচনার এখতিয়ার ফুটবলপ্রেমীদের। তবে মরিনহো কিন্তু বার্সার রাজত্বে একটু হলেও ফাটল ধরিয়েছিলেন, সেটি নিশ্চিত। আর এ কাজে মরিনহোকে পরোক্ষভাবে ‘সাহায্য’ করেছিলেন স্বয়ং লিওনেল মেসি!

রিয়াল মাদ্রিদে শেষটা ভালো হয়নি মরিনহোর। কিন্তু স্পেনের রাজধানীতে ফেরার রাস্তা তার জন্য এখনও খোলা আছে। আর তাই বেশ নরম সুরেই অধ্যায় নিয়ে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মরিনহো বলেন, ‘সেখানে (রিয়ালে) আমার তিনটি ভালো বছর কেটেছে। অবশ্যই ওই সময়টা কঠিন আর সমস্যাসঙ্কুল ছিল, কিন্তু এটাই পেশাদারী জীবন।’

তিনি বলেন, ‘এটা মোটেই সহজ ছিল না। সেখানে আমার দারুণ কিছু স্মৃতি আছে। আমি যখন ছিলাম তখন রিয়ালের জন্য কঠিন সময় অতিবাহিত হচ্ছে। এটা সেই সময় যখন বার্সেলোনা প্রাধান্য বিস্তার করেছিল।’

রিয়াল অধ্যায় নিয়ে কথা বলতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নাম। ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পর্তুগিজ উইঙ্গারের সঙ্গে কাজ করেছেন মরিনহো। তাদের সম্পর্কও ছিল দারুণ। যদিও শেষটা মধুর হয়নি।

সাবেক শিষ্যকে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মরিনহো বলেন, ‘রোনালদো একজন ফেনোমেনন। সে এমন একজন যে শুধুই জিততে আর খেলায় উন্নতি করায় মনোযোগী। সে যা করছে তা আমাকে মোটেই অবাক করে না। ৩৪ বছর বয়সেও সে শীর্ষ দলের শীর্ষ খেলোয়াড়। সে এক কেস স্টাডি, শারীরিক ও মানসিক দু’ভাবেই।’

আরও অনেক বছর খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা প্রায়ই বলেন রোনালদো। সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ নিজেও এমনটাই মনে করেন, ‘আমি মনে করেই রোনালদোর বয়স যখন ৫০ হবে, সে ঘরেই থাকবে আর ফিফা তাকে কিংবদন্তিদের খেলায় অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানাবে। সে ওই ম্যাচে খেলবে এবং গোলও করবে। এটা সবসময়ই এমনই থাকবে।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত