এএফসি কাপে ড্র করেও শীর্ষে আবাহনী

প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৪৬

সাহস ডেস্ক

এএফসি কাপে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের চ্যাম্পিয়ন মানাং মার্সিয়াংদি ক্লাবকে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের চ্যাম্পিয়ন মিনারভা পাঞ্জাবের কাছে ড্র করে ২ পয়েন্ট হারিয়েছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব আবাহনী লিমিটেড। তবে এই ম্যাচে জিতলে পরের রাউন্ডে ওঠার পথটা আরো পরিস্কার হতো প্রিমিয়ার লিগের ৬ বারের চ্যাম্পিয়নদের।

১৭ এপ্রিল (বুধবার) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মিনারভা পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোসের শিষ্যরা।

আবাহনী পিছিয়ে পড়ে দুইবারই দ্রুত ম্যাচে ফিরেছে। ২০ মিনিটে অধিনায়ক আল আমনার গোলে এগিয়ে যায় মিনারভা পাঞ্জাব। পরের মিনিটেই আবাহনী ম্যাচে ফেরে হাইতির বেলফোর্ট আর নাবিব নেওয়াজ জীবনের দারুণ এক কম্বিনেশনে। বাম দিক দিয়ে ঢুকে বেলফোর্ট বক্সে ক্রস ফেললে চলন্ত বলেই পা চালিয়ে মিনারভার জাল কাঁপান জীবন।

মিনারভা ২-১ গোলে লিড নিয়ে বিরতিতে যায়। ৪২ মিনিটে বদলি ফরোয়ার্ড গোপালান গোল করেন। এ গোলটি আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেল আর ডিফেন্ডার রায়হানের উপহারই বলা যায়। সোহেল বল দিয়েছিলেন রায়হানকে। রায়হান দিতে চেয়েছিলেন সতীর্থ মাসিহকে। কিন্তু দূর্বল পাস। খুব কাছে থাকা গোপালান জোড়ালো শটে করেন ২-১।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর তিন মিনিটের মধ্যেই আবার ম্যাচে ফিরে আসে আবাহনী। ওয়ালি ফয়সালের ফ্রিকিক ক্রসবারে লেগে ফিরলে নাইজেরিয়ান সানডে কোনো ভুল করেননি। ম্যাচসেরা হওয়া এ নাইজেরিয়ানের টোকায় ম্যাচ ২-২।

বাকি সময় আবাহনী প্রাধান্য নিয়ে খেলে এবং বেশ কয়েকবার অতিথি দলটির ডিফেন্স ভেঙেও কাজের কাজটি করতে পারেনি।

ম্যাচের আগের দিন আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোস বলেছিলেন, তারা ঘরের মাঠের সুবিধাটা কাজে লাগাতে চান। কিন্তু পারেননি। দুইবার পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরেও পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়া হলো না তাদের।

এক অর্থে সফরকারি দলটি নিজেদের দুর্ভাগা বলতে পারে। আরেক অর্থে সৌভাগ্যবান। আবাহনী সহজ সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে শূন্য হাতেই ফিরতে হতো ভারতের আই-লিগের আগের আসরের চ্যাম্পিয়নদের।

শেষ দিকে খুবই অবস্থা ছিল মিনারভা পাঞ্জাবের। ড্রয়ের স্বস্তিটাও তাই কম নয় ভারতের ক্লাবটির। আবাহনীকে তারা যে ফিরতি ম্যাচে পাবে ঘরের মাঠে।

দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আবাহনী। দুই ম্যাচে ২ পয়েন্ট পাঞ্জাবের দলটি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত