এবার হচ্ছেনা সুপার লিগের ক্লাবগুলোকে নিয়ে টি-২০ টুর্নামেন্ট

প্রকাশ : ০৯ মে ২০১৮, ১৫:১৬

সাহস ডেস্ক

বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভালো করার মতো পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন ক্রিকেটার দেশে নেই। তাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরে একাদশে পাঁচ বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর অনুমতি দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। 

পাঁচ বিদেশি খেলানোর সুযোগ দেয়ার স্বপক্ষে যুক্তি হিসেবে বিপিএল কর্তারা বলেছিলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার মতো পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন ক্রিকেটার দেশে নেই।’ তখনই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেশীয় ক্রিকেটারদের সক্ষমতা বাড়াতে বিপিএলের বাইরে চলতি বছর  আলাদা আরেকটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা বলেছিল বিসিবি।

ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনামের প্রস্তাবে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের ক্লাবগুলোকে সেই টুর্নামেন্টে খেলানোর চূড়ান্ত করা হয়েছিল। বছরের শুরুতে সিসিডিএম চেয়ারম্যানও বলেছিলেন, ‘সুপার লিগের ছয় ক্লাবকে নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে।’

যদিও গতকাল ০৮ মে (মঙ্গলবার) মিরপুর স্টেডিয়ামে সিসিডিএম চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এ বছর সেই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে না। কারণ ক্রিকেট মৌসুম প্রায় শেষের পথে। বৃষ্টির সময় এসে গেছে, সামনেই রমজান শুরু হবে। তাই এবার আর টুর্নামেন্টটি হবে না। আগামী বছর থেকে তা আয়োজনের চেষ্টা করা হবে।’

বিপিএলের বাইরে আরেকটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গতকাল সিসিডিএম চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘আমাদের একটা আলাপ হয়েছিল। তবে এই মৌসুমে যদি করতে না পারি আগামী মৌসুমে করবো। আগামী চার বছরের মধ্যে এটা  আমরা অবশ্যই চালু করতে চাই। শুধু এখানেই না, অন্য জায়গাতেও যদি সেরা প্লেয়ারদের নিয়ে আরো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট করা যায় সেটা অবশ্যই ভালো হবে। আমরা চাইছি আগামী বছর করার জন্য। সময়ের অভাবে এবছর হবে না। তা ছাড়া এখন যেহেতু  বৃষ্টি ও রোজা শুরু হয়ে গেছে তাই এবছর আর সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না।’

সিসিডিএমের কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘আগামী মৌসুমে সিসিডিএমের অধীনে বিভিন্ন লিগ দ্রুত শেষ করার পরিকল্পনা করা হবে। আর লিগগুলো দ্রুত সমাপ্ত করতে পারলে এই টি-টোয়োন্টি টুর্নামেন্ট করা সম্ভব হবে।’

গত বছর বিপিএলে একাদশে পাঁচ বিদেশি খেলানোর সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছিলেন জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই। বিদেশিদের আধিক্যে পর্যাপ্ত সুযোগও পেতেন না দেশীয় ক্রিকেটাররা। ব্যাটিং অর্ডার বদলে গিয়েছিল দেশের অনেক শীর্ষ ক্রিকেটারের। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বোলিং পেতেন না বোলাররা। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিদেশিদের ওপরই নির্ভর করতো দলগুলো।

যদিও আগামী অক্টোবরে শুরু হতে চলা বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে অবশ্য একাদশে বিদেশি ক্রিকেটারের সংখ্যা আবারো চার জনে নামিয়ে আনা হয়েছে।

সাহস২৪.কম/খান/মশিউর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত