করোনয় আরও ২৩৭ জনের মৃত্যু

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৩৯৮ জনে।

একই সময়ে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১০ হাজার ৪২০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮২ জনে।

বুধবার (১১ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৩১৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৩৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৪ জন ও ১০৩ জন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, দশোর্ধ্ব দুই জন, বিশোর্ধ্ব ৪ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৪ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৬ জন, ষাটোর্ধ্ব ৮৪ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৪৫ জন, আঁশির্ধ্বো ১৫ জন এবং নব্বইর্ধ্বো দুই জন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ১০৫ জন, এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৪ জন, সিলেট বিভাগে ২৩ জন, খুলনা বিভাগে ২০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ জন, বরিশাল বিভাগে ৮ জন এবং রংপুর বিভাগে ৬ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৩৪ জন এবং বাড়িতে ৩ জন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৭০৮টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৩টি, জিন এক্সপার্ট ৫৩টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫২২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪৪ হাজার আটটি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৪৩০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭১টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন দুই হাজার ৮৬৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন চার হাজার ৭৭১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৩৪ হাজার ২৪৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৪৭ হাজার ৭৪২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৮৬ হাজার ৫০২ জন।