অন্তত ৩০ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছে, ৩ হাজার মানুষ মারা গেছে
যুক্তরাজ্যে সংক্রমিত রক্ত কেলেঙ্কারি - প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৪, ১৮:৩১
![](/assets/news_photos/2024/05/22/image-89731-1716381790sahosh.jpg)
যুক্তরাজ্যে সংক্রমিত রক্ত কেলেঙ্কারির কারণে অন্তত ৩০ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ৩ হাজার মানুষ মারা গেছে। সম্প্রতি এক সরকারি তদন্ত থেকে বিষয়টি উঠে এসেছে। তদন্তে বলা হয়েছে, এই কেলেঙ্কারি কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং চিকিৎসকদের গাফিলতি এবং সরকারের অবহেলার কারণে এমনটা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রক্তে সংক্রমণ ও তার জেরে হওয়া মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে চলতি বছরের মধ্যে বাকি জীবিতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে সরকার। এই আবহে দেশের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে সেই ঘটনার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।
ল্যাংস্টাফ কমিশন সংক্রমিত রক্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের বক্তব্য থেকে যা উঠে এসেছে তা ভয়াবহ। যেমন—অনেক ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যে মার্কিন বন্দী এবং উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে রক্ত নেওয়া হয়েছে। পরে সেগুলো শিশুদের শরীরে ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে এসব শিশু এইচআইভি, হেপাটাইটিস সি’র মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের সম্মতি ছাড়াই তাদের শরীরে সংক্রমিত রক্ত দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ৩৪০ জন শিশুও ছিল বলে পরে সরকারি সূত্রেই জানা যায়। প্রায় তিন হাজার জনের মৃত্যুও হয়। তৎকালীন সরকার ও ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) ঘটনার সঠিক তদন্ত করার বদলে সেটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনাটিকে ব্রিটেনের চিকিৎসাক্ষেত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
এ বিষয়ে ল্যাংস্টাফ বলেন, ‘এই বিপর্যয় কোনো দুর্ঘটনা নয়। এই সংক্রমণের ঘটনা ঘটতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক, রক্ত সংক্রান্ত পরিষেবা এবং পরবর্তী সরকারগুলোর অবহেলার কারণে। কারণ তারা কেউই রোগীদের সুরক্ষার বিষয়টিকে প্রথম বিবেচনায় রাখেনি।’
তবে কেবল যুক্তরাজ্যে নয়, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্সেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে এর আগে অবশ্য ব্রিটিশ সরকার ২০২২ সালে সংক্রমিত রক্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ১ লাখ পাউন্ড করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল।