ছাতক ও দোয়ারায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি : ৪ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২২, ১৪:৪৪

নুর উদ্দিন, সুনামগঞ্জ

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ছাতক ও দোয়ারাবাজারের সবত্রই বন্যা দেখা দিয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে আবারও বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে অনেক ঘর বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, মৎস্য খামার, গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ও হাট-বাজার। উপজেলার সর্বত্রই এখন বন্যার পানি থৈ-থৈ করছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুর পর্যন্ত সুরমা, পিয়াইন, চেলা নদী সহ সকল নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ও নদ-নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দোয়ারাবাজার-ছাতক-সিলেট সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় জেলাগুলোর সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শহরের অলি-গলি, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে ভরপুর হয়ে পড়েছে।

উজানের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে এখানে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে ব্যাপক হারে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ছাতক শহরের সকল চুনশিল্প কারখানা, ক্রাশার মিল বন্ধ। সুরমা নদীতে নৌকা-কার্গো লোডিং আন লোডিং ও বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে শত-শত শ্রমিক এখানে বেকার। একাধারে ভারী বর্ষণের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি কাঁচা ঘরবাড়ি। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ। তার ইউনিয়নের সকল মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামের দেয়া তথ্যমতে বুধবার সকাল পর্যন্ত সুরমা স্টেশন ২৬৮, সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার ২.১৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ছাতকে বৃষ্টিপাতের পরিমান ২০০মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত। ফলে নদ-নদীতে সীমিত আকারে বড় নৌ-যান চলাচল করছে। ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মামুনুর রহমান জানান, ছাতকে ১০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে দেড় শতাধিক পরিবার ইতিমধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রয়োজনে আরো আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হবে। বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলছে।

সাহস২৪/রাজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত