বেড়িবাঁধ ভেঙে মহেশখালীতে ১৪ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশ : ০৪ মে ২০১৯, ১৭:৪১

সাহস ডেস্ক

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার উপকূলীয় দ্বীপ মাতারবাড়ী ও ধলঘাট ইউনিয়নে শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে অন্তত ১৪ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই-তিন ফুট পানি বেড়ে যায়। বাতাসের গতিবেগ বাড়ার পাশাপাশি জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় বেড়িবাঁধে নতুন করে ভাঙন দেখা দেয়। এতে মাতারবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর রাজঘাটে ১০০ মিটার, পশ্চিমে ষাইটপাড়ায় ২০০ মিটার নতুন করে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়।

ধলঘাট ইউনিয়নের হামিদখালী থেকে সরইতলা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার ও ভারতঘোনার ২০০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এ কারণে ধলঘাট ও মাতারবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় দুই কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে গিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে অন্তত ১৪ গ্রামে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ধলঘাট ইউনিয়নের হামিদখালী থেকে সরইতলা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। ভেঙে গেছে দক্ষিণ সরইতলা ও ভারতঘোনার অন্তত ২০০ মিটার বেড়িবাঁধ। এতে ভাঙা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে উত্তর সুতুরিয়া, দক্ষিণ সুতুরিয়া, কিছরাবন্যা, বনজামিরা, পানিরছড়া, সিকদারপাড়া, সাপমারার ডেইল, পণ্ডিত ডেইল, মুহুরিঘোনা, নাছির মোহাম্মদ ডেইল ও সরইতলা গ্রামে।

মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে মাতারবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ সাইরার ডেইল বাইরের পাড়া, পশ্চিম ষাইটপাড়া, নয়াপাড়া ও উত্তর রাজঘাটে জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবন হয়েছে। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে সাইরার ডেইলের পশ্চিমে নোঙর করা চারটি ফিশিং বোট ডুবে গেছে। জোয়ারের পানি ঢুকে মাতারবাড়ীর প্রায় ৩০০ ঘরবাড়ি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত