সোমবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন ভিপি নুর

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৩৫

সাহস ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার বিচারের জন্য সোমবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলছেন, এরমধ্যে যদি অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত না করা হয় তাহলে নতুন কর্মসূচি দেয়া হবে।

নুর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সোমবার পর্যন্ত সময় দিয়েছি, এর মধ্যে আমরা দেখতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়। অন্যথায় আমরা নতুন কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকব।

১ এপ্রিল রাতে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ছাত্রলীগের হামলার শিকার ফরিদ হাসানকে পরদিন বিকালে দেখতে গেলে ভিপি নুরুল, সমাজসেবা সম্পাদক আক্তার হোসেনসহ তাদের বেশ কয়েকজন সেখানে হল সংসদের ভিপি, জিএসসহ তাদের অনুসারী নেতা-কর্মীরা নুরুল ও আক্তারকে একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখেন। তাদের অবরুদ্ধ করে রাখার সময় হল গেটের বাইরে শামসুন্নাহার হল সংসদের ভিপি (স্বতন্ত্র) শেখ তাসনিম আফরোজ ইমিসহ অন্যান্যদের ওপর ডিম ছুড়ে হেনস্তা করা হয়।

নূর বলেন, “উপাচার্য আমাদের অভিযোগগুলো শুনেছেন। সেখানে আমরা তাকে স্পষ্টভাষায় বলেছি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হামলায় ছাত্রলীগ জড়িত থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন্তত গতকালকের (২ এপ্রিল) ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা আমরা আগামী সোমবারের (৮ এপ্রিল) মধ্যে দেখতে চাই। যদি তারা তা করতে ব্যর্থ হন তাহলে আমরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবো।

ভিপি নূর বলেন, “শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন, প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে আন্দোলন এবং সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনের সময় প্রত্যেকটি হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী জড়িত ছিলো। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এই বার্তাটি দিতে চেয়েছিলাম যে এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এরা বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্ন সময়ে হামলা চালাচ্ছে। সেই জায়গা থেকে ন্যায় বিচারের দাবিতে গতকালকে (২ এপ্রিল) আমি ডাকসুর ভিপি হিসেবে হলের ভিপিদের সঙ্গে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করেছিলাম। আমার সঙ্গে আমার সহযোদ্ধারা ছিলেন।”

“তার প্রেক্ষিতে গতকাল রাতে প্রোক্টর স্যার গিয়ে আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন ন্যায় বিচারের। অতীতে তাদের আশ্বাস আমরা অনেক শুনেছি। কিন্তু, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। সে জন্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক উপাচার্যকে চাই তিনি এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন।”

তিনি বলেন, “আমাদের দুটি দাবি রয়েছে- একটি হলো সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। অপরটি হলো প্রতিটি হল থেকে অছাত্র বহিরাগতদের বের করে দেওয়া।”

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত