দর্শনায় শেষ হলো ‘হিসাব অনির্বাণ একুশে নাট্যমেলা’

প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৩১

শামসুজ্জোহা পলাশ

দুই বাংলার সাংস্কৃতিক কর্মীদের অংশগ্রহণে চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় শেষ হলো ‘বুক জুড়ে স্বাধীনতা হও’ শীর্ষক ‘হিসাব অনির্বাণ একুশে নাট্যমেলা’।

স্থানীয় ডাকবাংলো চত্বরে অনির্বাণ থিয়েটারের আয়োজনে ১৫ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি ৭ দিনব্যাপী চলে এই মহা কর্মযজ্ঞ।

১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে শিশুদের বর্ণলিখন, বাক্য লিখন ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার মধ্যদিয়ে নাট্যমেলার শুভসূচনা হয়। এদিন সন্ধ্যায় উৎসব মঞ্চে ঢাকের সুরে পঞ্চপ্রদীপ জ্বেলে নাট্যমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন, অনির্বাণ থিয়েটারের উপদেষ্টা এড. শহীদুল ইসলাম, মহসিন আলী, সভাপতি ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।

উদ্ধোধনী সন্ধ্যায় মঞ্চায়িত হয় অনির্বাণ থিয়েটারের মৌলিক নাটক ‘হিং টিং ছট্’। এছাড়ার মেলার প্রতিদিন ছিলো বিভিন্ন স্কুল-কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

নাট্যমেলার দ্বিতীয় দিন বিকালে অনুষ্ঠিত হয় কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগীতানুষ্ঠান, সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীবৃন্দের পরিবেশনায় নজরুল সংগীতের আসর এবং রাতে ঢাকার লোক নাট্যদল (বনানী) নাটক ‘কঞ্জুস’।

পরের দিন বিকালে দর্শনা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগীতানুষ্ঠান, সন্ধ্যায় আনন্দধাম সাংস্কৃতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেশগানের আসর এবং রাতে ঢাকার থিয়েটার আর্ট ইউনিটের নাটক ‘আমিনা সুন্দরী’।

নাট্যমেলার চতুর্থ দিন বিকালে অনুষ্ঠিত হয় পূর্ব রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগীতানুষ্ঠান, সন্ধ্যায় ঢাকা ছায়ানটের প্রক্তান শিক্ষার্থী ফারিহা মেহজাবিন অন্বেষা ও কলকাতাস্থ রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাবিনা ইয়াছমিন সাথী’র যৌথ পরিবেশনায় রবীন্দ্র সংগীতের আসর এবং রাতে বিবর্তন যশোর এর নাটক ‘মাতব্রিং’।

পরদিন বিকালে আল-হেরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগীতানুষ্ঠান, সন্ধ্যায় নীলসেতার এর পরিবেশনায় কালজয়ী বাংলা সিনেমার গানের আসর এবং রাতে কলকাতার গোবরডাঙ্গা নকশা’র নাটক ‘বিনোদনী’।

নাট্যমেলার ষষ্ঠ দিন বিকালে অনুষ্ঠিত হয় আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগীতানুষ্ঠান, সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী’র গণসংগীতের আসর এবং রাতে কলকাতার শিল্পীমন এর নাটক ‘শ্বাসকষ্ট’।

নাট্যমেলার সমাপনী দিন বিকালে দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগীতানুষ্ঠান, সন্ধ্যায় কলকাতার বরণ্য বাচিক শিল্পী সৌমিত্র ঘোষ, ড. বাসুদেব ভট্টাচার্য ও ডা. মৌ ভট্টাচার্যের যৌথ পরিবেশনায় কথা ও কবিতার আসর, রাতে চুয়াডাঙ্গা অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাটক ‘ক্ষুদিরামকথা’ এবং সবশেষে ঢাকার রাসেল হায়দার ও তার দল পরিবেশন করে বাউল সংগীতের আসর। 

আয়োজনের দায় নিয়ে অনির্বাণ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন- সীমান্তবর্তী এই মফস্বল শহরে আমরা বহুকষ্টে দীর্ঘ ২৭ বছর আয়োজনটি ধরে রেখেছি। আগামীতে সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্টপোষক ছাড়া এজাতীয় আয়োজনের ভবিষ্যত কী?

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত