আমরা কারও কাছে করুণা চাই না: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৩, ১২:৩৪
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসা পর্যন্ত সহজ শর্তে অর্থায়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও উন্নত দেশগুলোকে এ বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে। আমরা কারও কাছে কোনো করুণা চাই না, দয়া ভিক্ষা চাই না, আমরা ন্যায্য অধিকার চাই। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুম হলে বাংলাদেশ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
গত এক দশকে বাংলাদেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহযোগিতা প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এডিবি আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। ১৯৭৩ সালের জাতির পিতার নেতৃত্বে এডিবির সঙ্গে আমাদের সর্ম্পক প্রতিষ্ঠা হয়। গত ৫০ বছরে আমাদের যে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, কাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক; প্রতিটি ক্ষেত্রে এডিবির বিশেষ সহযোগিতা রয়েছে। বর্তমানে এডিবির ক্রমবর্ধমান অবদান দাঁড়িয়েছে ২৮.৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এডিবির পোর্টফোলিওতে বাংলাদেশ এখন তৃতীয় বৃহত্তম গ্রাহক।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ এরইমধ্যে বৃহত্তম প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষমতা দেখিয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে পেরেছি। মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন কর্মমুখী প্রকল্প আমরা করে যাচ্ছি। পদ্মাসেতু নির্মাণ ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরব, মর্যাদা ও যোগ্যতার প্রতীক। বাংলাদেশ পারে।
তিনি আরও বলেন, ❛জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘদিনের লালিত যে স্বপ্ন, বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন। এই সোনার বাংলা গড়ার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।❜
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মাধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করা একটি লক্ষ্য। সে লক্ষ্য নিয়েই আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা অত্যন্ত বাস্তবমুখী, সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা এবং আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ❛চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ব একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আমরা ভূ-রাজনীতিক সংকটের স্বীকার হলেও এর জন্য বাংলাদেশ মোটেই দায়ী নয়। বরং আমাদের কষ্টার্জিত অর্জনগুলোকে নস্যাৎ করছে। আমাদেরকে একটু অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা এই সংকটের তাৎক্ষণিক কোনো সমাধানও দেখতে পাচ্ছি না। এটা শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে না, সারা বিশ্বে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষগুলো আরো কষ্ট পাচ্ছে। বেশিরভাগ দেশই খাদ্য, জ্বালানি ও আর্থিক সংকটে পড়ছে। যার ফলে মুদ্রার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে অবক্ষয় এবং মুদ্রাস্ফীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।❜
সাহস২৪.কম/এআর.