নেতা-কর্মীদের কাছে ৩টি দাবি যুবলীগ সভাপতির

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২২, ১৯:০৮

সাহস ডেস্ক

নিঃশর্তভাবে ঐক্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হবে জানিয়ে আওয়ামী যুবলীগের নেতা-কর্মীদের কাছে ৩টি দাবি রেখেছেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শাসম পরশ। তার প্রথম দাবি, ‘সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে গিয়ে, ভাই-ভাইয়ের সঙ্গে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করে, নিঃশর্তভাবে ঐক্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সব সহযোগী সংগঠনের মধ্যে যদি ঐক্য-সমন্বয় থাকে, তাহলে কোনো যুদ্ধপরাধী, রাজাকার, আল বদরের বংশধররা বাংলাদেশের মুক্তিযদ্ধের পক্ষের শক্তিকে পরাজিত করতে পারবে না।’

দ্বিতীয় দাবি, ‘যে উন্নয়ন বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের এ দেশকে দিয়েছেন, সেই অর্জনগুলোকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। জনসংযোগ বাড়াতে হবে এবং মানুষকে জ্ঞাত করতে হবে। বিএনপি প্রপাগান্ডার রাজনীতি করে। এ প্রপাগান্ডা আমাদের খণ্ডন করতে হবে। বিএনপির মিথ্যাকে আমাদের সত্য দিয়ে ঢাকতে হবে এবং এই সত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিএনপিকে আমরা পরাজিত করব।’

যুবলীগ চেয়ারম্যানের শেষ দাবি, ‘প্রায় ১৪ বছর আমরা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আছি। আর ১৪ মাস ক্ষমতায় আছি। অনেক নিশ্চিন্তে আমরা ঘুমিয়েছিলাম। অনেক শান্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের রেখেছেন। আগামী ১৪ মাস বিনিদ্র রাত্রি কাটিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আনতে হবে। চলেন এ ১৪ মাস আমরা পরিবার-বন্ধু ভুলে যেয়ে শুধু দুটি কথা মাথায় রাখি; বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের মার্কা নৌকা মার্কা। ১৪ মাস পর যে বিজয় আমরা অর্জন করব, তারপরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর কোনো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দাঁড়াতে পারবে না।’

আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটি। এ মহাসমাবেশের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সঙ্গে ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সমাবেশে বক্তব্যের সময় যুবলীগের নেতা-কর্মীদের কাছে এ ৩টি দাবি রাখেন যুবলীগ সভাপতি।

এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মহাসমাবেশস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। প্রধান অতিথি হিসেবে বেলা পৌনে তিনটার দিকে মহাসমাবেশ উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। উদ্বোধনীতে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ ছাড়া বেলুন ও পায়রা ওড়ানো হয়।

যুবলীগের মহাসমাবেশ শুরুর আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢল নামে নেতা-কর্মীদের। নীল, সবুজ, হলুদসহ নানা রঙের টি-শাট ও টুপি পরে মহাসমাবেশে এসেছেন নেতা-কর্মীরা। মহাসমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকেই যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের হাজারো নেতা-কর্মীকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যেতে দেখা যায়। তারা বাস, পিকআপ, মোটরসাইকেলে করে মহাসমাবেশস্থলের দিকে যান। অনেকে আবার পায়ে হেঁটে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যান। যুবলীগের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও রাজধানীর সড়কগুলোতে দেখা গেছে যানজট। দুপুরের দিকে বিজয়সরণী, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় যানজট ছিল। মহাসমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত