একেবারে তৃণমূল থেকেই উন্নয়ন করে আসছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:১০

সাহস ডেস্ক

আমাদের উন্নয়ন শহর ভিত্তিক নয়, একেবারে তৃণমূল থেকেই আমরা উন্নয়ন করে আসছি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের প্রকাশনা উৎসব, বঙ্গবন্ধু স্কলার বৃত্তি প্রদান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজের চুড়ান্ত পুরস্কার বিতরণ কালে একথা বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এ ধরনের আয়োজনের ফলে মানুষ যেমন ইতিহাসকে জানতে পারবে, সত্যকে জানতে পারবে, আর এর ভেতর থেকে নিজেরা নিজেদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারবে।

তিনি বলেন, দেশের প্রতি দেশের মানুষের প্রতি যে একটা দায়িত্ব আছে সেটা জাতির পিতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে যতই জানতে পারবে ততই তারা তা উপলদ্ধি করতে পারবে। কেননা, একটা মানুষ তার জীবনের সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন, বাংলাদেশের শোষিত বঞ্চিত মানুষের জন্য।

সরকার প্রধান বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষের যে অবস্থা তা ১৩/১৪ বছর আগেও এমন ছিলনা, এটা হলো বাস্তবতা। কিন্তু আমরা সে পরিবর্তন আনতে পেরেছি, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া।

তিনি বলেন, আজকে নতুন প্রজন্ম ২০৪১ সালের সৈনিক হবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। উন্নয়নশীল দেশ থেকে ধাপে ধাপে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হবো। আর সেটা করা খুব কঠিন কাজ নয়, ইনশাল্লাহ আমরা তা করতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিকে যেমন দারিদ্রের হার আমরা কমাতে পেরেছি তেমনি স্বাক্ষরতার হার বাড়াতে পেরেছি। পাশাপাশি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা দিতে পেরেছি এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর যেমন গুরুত্ব দিয়েছিলাম সেখানেও আমরা যথেষ্ট সফল হয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন। সেই সোনার মানুষ এখন তৈরি হচ্ছে। সেটাই হচ্ছে সবথেকে বড় কথা।

জাতির পিতার অবদানকে মানুষ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেবল গ্রহণ করলেই হবেনা। আমি চাই নতুন প্রজন্ম সেই আদর্শে আদর্শবান হয়ে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আমরা উন্নয়নশীল দেশের যে মর্যাদা পেয়েছি সেটা ধরে রেখে দেশকে আরো এগিয়ে নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা তাঁর সারাজীবন জেল জুলুম অত্যাচার সহ্য করেছেন, শহীদরা রক্ত দিয়ে গেছেন। এই আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যেতে পারেনা।

তিনি বলেন, তাদের এই মহান ত্যাগের একটাই  লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। শিক্ষায় জ্ঞানে-বিজ্ঞানে সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষ উন্নত হবে এবং সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এবং জানার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। বাংলাদেশ এখন আর অন্ধকারে পড়ে থাকছে না। বরং বাংলাদেশের মেধাবী ছেলে-মেয়েরাও বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে পারছে, তাদের জ্ঞান আরো উদ্ভাসিত হচ্ছে। প্রযুক্তির সেটাই সবথেকে বড় অবদান।

অনুষ্ঠান আয়োজক-প্রকাশকদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এই ধারা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে মানুষ সঠিক ইতিহাস জানার মাধ্যমে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেটা অবশ্যই সফল হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত