সিরাজগঞ্জের বন্য পরিস্থিতির অবনতি

অতি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের কারণে সিরাজগঞ্জের বন্য পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। এর ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে এবং পানিবন্দী হয়ে পরেছে প্রায় এক লাখ মানুষ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল রবিবার সকাল ৬টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত)  যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ জানান, শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী আরও কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। 

সরেজমিন দেখা যায়, ক্রমাগত পানি বৃদ্ধি  পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল। এতে করে জেলার ৫টি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের প্রায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। তলিয়ে গেছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ, রাস্তাঘাট, বিস্তীর্ণ রোপা আমনের ক্ষেত। ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চৌহালী ও শাহজাদপুরের নদী পারের মানুষ। 

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ভাঙনের বিষয়টি শুনেছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বালুভর্তি জিওটেক্স বস্তা ফেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, বন্যা কবলিত ৫টি উপজেলায় ১২৫ টন চাল ও দেড় লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তারা সেটা তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ করবেন। এ ছাড়াও জেলায় ৫১ টন চাল ও দুই লাখ টাকা বন্যার্তদের জন্য মজুত রাখা হয়েছে।

সাহস২৪.কম/এমআর