চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ ১৪ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২১, ০১:৪৭

সাহস ডেস্ক

চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ১৭ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই ১৯ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ জানুয়ারি।

রবিবার (৩ জানুয়ারি) কমিশনের বৈঠক শেষে এই তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আলমগীর।

এ দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে। ৩১টি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকি ২৫টি পৌরসভায় ব্যালটের মাধ্যমে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ১৭ জানুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ জানুয়ারি এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। ৩১টি পৌরসভায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হবে। বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট চলবে।

তিনি আরও বলেন, প্রথম থেকে তৃতীয় ধাপের মতো সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসার অথবা সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার অথবা ক্ষেত্রবিশেষে অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। তবে, কয়েকটি পৌরসভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

চতুর্থ ধাপে যেসব পৌরসভায় ভোট হবে সেগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও জেলার ঠাকুরগাঁও (ইভিএম) ও রানীশৈংকল, রাজশাহীর নওহাটা, গোদাগাড়ী (ইভিএম), তানোর ও তাহেরপুর। লালমনিরহাটের লালমনিরহাট সদর (ইভিএম) ও পাটগ্রাম। নরসিংদীর নরসিংদী সদর ও মাধবদী (ইভিএম)। রাজবাড়ীর রাজবাড়ী সদর (ইভিএম) ও গোয়ালন্দ।

বরিশালের মুলাদী (ইভিএম) ও বানারীপাড়া। শেরপুরের শেরপুর সদর (ইভিএম) ও শ্রীবরদী। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ (ইভিএম)। নাটোরের বড়াইগ্রাম ও নাটোর। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা।

বান্দরবানের বান্দরবান (ইভিএম) ও বাগেরহাটের বাগেরহাট (ইভিএম)। সাতক্ষীরার সাতক্ষীরা (ইভিএম) ও হবিগঞ্জের চুনারুঘাট (ইভিএম)। কুমিল্লার হোমনা (ইভিএম) ও দাউদকান্দি (ইভিএম)।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, পটিয়া (ইভিএম) ও চন্দনাইশ। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর (ইভিএম), হোসেনপুর ও করিমগঞ্জ। টাঙ্গাইলের গোপালপুর (ইভিএম) ও কালিহাতী। পটুয়াখালীর কলাপাড়া (ইভিএম), চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও আলমডাঙ্গা (ইভিএম)।

ফেনীর পরশুরাম (ইভিএম), চাঁদপুরের কচুয়া (ইভিএম) ও ফরিদগঞ্জ। মাদারীপুরের কালকিনি (ইভিএম), নেত্রকোনার নেত্রকোনা সদর (ইভিএম), যশোরের চৌগাছা (ইভিএম) ও বাঘারপাড়া। রাঙামাটির 

রাঙামাটি (ইভিএম), মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম (ইভিএম), শরীয়তপুরের ডামুঢ্যা ও জামালপুরের মেলান্দহ।

ময়মনসিংহের ফুলপুর (ইভিএম), জয়পুরহাটের আক্কেলপুর (ইভিএম) ও কালাই। নোয়াখালীর চাটখিল (ইভিএম), ব্রাহ্মণাড়িয়ার আখাউড়া (ইভিএম), লক্ষ্মীপুরের রামগতি (ইভিএম) এবং ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সিলেটের কানাইঘাট পৌরসভা।

উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে ৩২৯টি পৌরসভা রয়েছে। গত ২২ নভেম্বর প্রথম ধাপের ২৫টি পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী গত ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই ধাপের নির্বাচনে ৬৫.৬ শতাংশ ভোট পড়ে।

এরপর গত ২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ৬১টি পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৬ জানুয়ারি ৬১টি পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ২৯টি পৌরসভায় ইভিএমে এবং ৩২টি পৌরসভায় ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত